প্রতিহিংসার কারণেই আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিকিৎক দেবাশিস হালদার, আশফাকুল্লা নাইয়াদের বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। শুক্রবার সেই বদলির নির্দেশের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওই দুই চিকিৎসক।
সূত্রের খবর, কাউন্সেলিংয়ে আসফাকুল্লা নাইয়ার আরামবাগে পোস্টিং হওয়ার কথা ছিল। দেবাশিসের হাওড়া জেলা হাসপাতালে। মেধাতালিকা বেরনোর পর দেখা যায়, দেবাশিসের পোস্টিং হয়েছে মালদার গাজোলে। আসফাকুল্লাকে পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়ায়।
হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, কাউন্সেলিংয়ে যেখানে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই পোস্টিংয়ের দাবি জানিয়েছেন তাঁর মক্কেলরা। অন্য কোথাও নয়। চিকিৎসকরা হেলথ ডিপার্টমেন্টের আওতায় হলেও তাঁরা সিনিয়র রেসিডেন্ট ডক্টর। রাজ্যের সঙ্গে তাঁদের চাকরির চুক্তি রয়েছে। স্থায়ী কর্মী ছাড়া স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই।
চিকিৎসকদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। ৫ জুলাই মামলার শুনানি।
এমন পোস্টিং নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যসচিবের ঘরের সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। অবশ্য স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়ে দেন, কোনও অভিযোগ থাকলে লিখিত জানাতে হবে। এরপরই মামলা করলেন ২ চিকিৎসক।