• মিছিলের আগেই প্রিজ়ন ভ্যানে চাকরিহারা শিক্ষকরা, জমায়েতের আগেই কড়া পুলিশ
    এই সময় | ৩০ মে ২০২৫
  • মিছিলের আগেই ধরপাকড়। শুক্রবার সকালে চাকরিহারাদের মিছিল শুরুর আগেই জমায়েতে বাধা দেয় পুলিশ। একের পর এক আন্দোলনকারীদের প্রিজ়ন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। শিয়ালদহ থেকে নবান্ন পর্যন্ত অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। শুক্রবার তাঁরা শিয়ালদহে এসে পৌঁছতেই জমায়েতে বাধা দেয় পুলিশ। মাইকিং শুরু করে পুলিশ, ওই এলাকায় কেউ জমায়েত করলেই আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তার পরেই চাকরিহারাদের প্রিজ়ন ভ্যানে তোলা শুরু হয়।

    চাকরিহারা শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে না দেওয়ায় তাঁরা আজই অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। দুপুরে ধর্মতলার চার রাস্তার মোড় অর্থাৎ ডোরিনা ক্রসিং আটকে বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

    ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবরোধের ডাক দেওয়ায় আন্দোলনকারীদের অনেকেই ডোরিনার দিকে যাচ্ছিলেন। তার আগেই ধর্মতলা চত্বর থেকে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে না দিয়ে বলপ্রয়োগ করেছে পুলিশ। শুভ্রা ঘোষ নামে এক আন্দোলনকারী শিক্ষকের অভিযোগ, পুলিশ যেখান সেখান থেকে টেনে নামিয়েছে তাঁদের। শুভ্রা ঘোষের অভিযোগ, পুলিশ টান দেওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছেন, তাতে তাঁর পায়েও লেগেছে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও রাজি হচ্ছিলেন না। তার পর তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলে পুলিশ। তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ধর্মতলা চত্বর পুলিশে ছয়লাপ। এখানেও জমায়েত শুরুর আগেই চাকরিহারাদের টেনেহিঁচড়ে প্রিজ়ন ভ্যানে তোলা হয়। জমায়েত ভেস্তে গেলেও আন্দোলন এখনই থামছে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

    ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ডোরিনা ক্রসিং এবং কেসি দাসের সামনের এলাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কোনও মিটিং মিছিলের খবর ছিল না, কেউ অনুমতি চাইনি। হঠাৎ করে দেখি জমায়েত শুরু হয়েছে। সেই কারণেই আইন অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। শুধুমাত্র ডোরিনা ক্রসিং থেকে ৫০ জনকে প্রিজ়ন ভ্যানে তোলা হয়েছে। তাঁদের আটক করে বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছে। এক জনের পায়ে লেগেছে, সম্ভবত মচকে গিয়েছে। তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

  • Link to this news (এই সময়)