নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে সরেছে, তবে শুক্রেও ভারী বৃষ্টি দক্ষিণের ৪ জেলায়, ভাসবে উত্তর
আনন্দবাজার | ৩০ মে ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছিল, তা শক্তি হারিয়ে আপাতত বাংলাদেশের উপরে রয়েছে। তবে তার প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শুক্রবারও। দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে। আগামী কয়েক দিন মুষলধারে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। গত ছ’ঘণ্টায় তা ধীরে ধীরে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়েছে এবং বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই সময়ে তার গতি ছিল ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। আপাতত নিম্নচাপ বাংলাদেশের উপরে টাঙ্গাইল থেকে ৬০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম, ঢাকা থেকে ১১০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর পশ্চিমে অবস্থান করছে। পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর থেকে নিম্নচাপের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তিক্ষয় হবে নিম্নচাপের। তা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চল আকারে আরও উত্তর দিকে সরবে।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় শুক্রবার ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার ঝড়বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। আপাতত দক্ষিণের আর কোথাও সতর্কতা জারি করা হয়নি। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে সর্বত্র।
উত্তরবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি চলবে। শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বর্ষণ (১২ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) হতে পারে। মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৬ ডিগ্রি কম। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৪ ডিগ্রি কম।