• রাতের পথে ডাকাতদের ধাওয়া হাওড়া পুলিশের, গ্রেফতার দুই
    আনন্দবাজার | ৩০ মে ২০২৫
  • একেবারে সিনেমার কায়দায় ধাওয়া করে দুই ডাকাতকে ধরে ফেলল পুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটিঘটেছে হাওড়ার রামরাজাতলা স্টেশন রোডে।

    হাওড়া সিটি পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক ডাকাত দল বুধবার রাতে একটি লরি ও একটি গাড়ি নিয়ে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় যাচ্ছিল লুটপাটের উদ্দেশ্যে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের পিছু নেয় পুলিশ। বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজ়া থেকে ধাওয়া করেজগাছার রামরাজাতলা স্টেশন রোডে সেই দলের দু’জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। বাকিরা অবশ্য লরি ফেলে রেখে পাশের পানাপুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ লরিটি আটক করলেও গাড়িটি ধরতে পারেনি। পলাতক ডাকাতদের খোঁজে জোর তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে তারা।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতদের ওই দলটি হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে একটি আট চাকার লরি ও একটি গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল। সেইখবর প্রথম আসে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে। সূত্র মারফত হাওড়া সিটিপুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে ওই লরি ও গাড়ির নম্বরও এসে যায়। এর পরে রাত ৮টা থেকে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজ়ায় অপেক্ষা করতেথাকেন গোয়েন্দারা। ওই লরি ও গাড়িটি রাতে টোল প্লাজ়ায় আসতেই পুলিশ পিছু নেয়। পুলিশ পিছনে আসছে বুঝতে পেরে লরি ওগাড়িটি বেপরোয়া ভাবে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে তীব্র গতিতে ছুটতে থাকে।

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লরিটি এমন বেপরোয়া ভাবে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নিবড়ার দিকে যাচ্ছিল যে, বড় ধরনেরদুর্ঘটনা ঘটতে পারত যে কোনও সময়ে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে লরিচালক লরি নিয়ে উনসানি মোড়ের আগে ডান দিকে জগাছাররামরাজাতলা স্টেশন রোডে ঢুকে পড়ে। পুলিশ জানায়, সেখানে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়ে লরিটি এক পথচারী মহিলাকে ধাক্কা মারে। তিনি সামান্য চোট পান।পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে এক দুষ্কৃতী চলন্ত লরি থেকেলাফিয়ে নেমে রাস্তায় ছুটতে শুরু করে। এক সময়ে ওই রাস্তায় লরি ফেলেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।তাদের মধ্যে দু’জনকে ধরে গ্রেফতার করে জগাছা থানার পুলিশ। তারা হল ২৬ বছরের আসাদুল গায়েন ও ৩৫ বছরের ছোটু গায়েন। তাদের সঙ্গীদের মধ্যে কয়েক জন স্টেশন রোডের ধারেথাকা একটি কচুরিপানা ভর্তি জলাশয়ে ঝাঁপ দেয়। তার পরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তাদের কারও খোঁজ মেলেনি। লরির পিছনেথাকা গাড়িটিও বেমালুম উধাও হয়ে যায়।

    হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ডাকাত দলে প্রায় সাত জন ছিল বলে মনে করাহচ্ছে। গাড়িটিতে ছিল ওই দলের মাথা। হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার কোথাও ডাকাতি করে লুটেরমালপত্র লরিতে তুলে চম্পট দেওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। ওই দলটি আগেও বেশ কিছু জায়গায় ডাকাতি করেছে বলে জানা গিয়েছে।লরিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দলের বাকিদের খোঁজে তল্লাশিচলছে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)