• কালীগঞ্জে লড়ার পথে কংগ্রেস, ‘সতর্ক’ তৃণমূল
    আনন্দবাজার | ৩০ মে ২০২৫
  • কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে রফার পথেই এগোচ্ছে সিপিএম ও কংগ্রেস। পাশাপাশি, সকলের আগে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়ে শাসক ত়ণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব নদিয়ার এই আসনে দলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের ছায়া এড়াতে সতর্ক পদক্ষেপ করছেন।

    বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করেই গত ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে নদিয়ার কালীগঞ্জ আসনে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। এ বার উপনির্বাচনেও লড়াই করার জন্যই প্রস্তুতি চলছে কংগ্রেস শিবিরে। সম্ভাব্য তিনটি নাম প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে এআইসিসি-র কাছে পাঠানো হয়েছে প্রার্থী-পদে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। সিপিএম সূত্রের খবর, বাম শিবিরের অন্দরে টানাপড়েন থাকলেও ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সমঝোতার দরজা খোলা রাখতে চেয়ে কংগ্রেসকেই এই উপনির্বাচনে সমর্থন দেওয়া হতে পারে। সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের মত কংগ্রেস প্রার্থীকে সামনে রেখে রফার পক্ষেই। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত করার আগে আজ, শুক্রবার ফের বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ফ্রন্টের মধ্যে তাদের ভাগের পুরনো আসন কালীগঞ্জ ফেরত চেয়ে দাবি জানিয়ে রেখেছে বাম শরিক আরএসপি। যদিও সেই দাবিপূরণের সম্ভাবনা ক্ষীণ। কংগ্রেসকে আসন ছেড়ে দেওয়া হলে সিপিএমের নিজেদের লড়ার প্রশ্নও থাকে না, আরএসপি-র দাবিও সামাল দেওয়া যায়। এই রফা-সূত্রের কথা আগেই তুলেছিলেন আর এক শরিক সিপিআই নেতৃত্ব।

    পক্ষান্তরে, কালীগঞ্জ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী-পদে স্থানীয় সাংসদ তথা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মহুয়া মৈত্রের প্রস্তাব আগেই খারিজ করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বার প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট মনোনয়নেও তাঁর মত আমল পায়নি। মহুয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দলীয় প্রার্থী আলিফা আহমেদের এজেন্ট হিসেবে সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন, বিধায়ক রুখবানুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রার্থী ও এজেন্টকে পরবর্তী করণীয় জানিয়ে দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সেই সঙ্গেই দলীয় প্রতীক ও প্রার্থী-পদের জন্য দলের প্রয়োজনীয় সম্মতিপত্রও দেওয়া হয়েছে আলিফাকে। দলীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় স্তরে গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের কথা মাথায় রেখেই দলের জন্য ‘নিরাপদ’ এই আসনেও বিশেষ সতর্ক থাকতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপিও এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)