অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) সংরক্ষণের জন্য এ দেশের সংবিধান এবং আইনি কাঠামো মাথায় রেখে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করতে রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরে চিঠি দিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। যাদবপুরের শিক্ষক সমিতির (জুটা) তরফে বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমারকে ওই চিঠি দেওয়া হয়। রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগের সচিব সঞ্জয় বনসলকেও চিঠি দিয়েছে জুটা।
জুটার সভাপতি পার্থপ্রতিম বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কোনও নির্দিষ্ট ভর্তি নীতি না-থাকার কারণেই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ আছে। চিঠিতে এমন আশঙ্কাও করা হয়েছে যে, ভর্তি নিয়ে এই দেরিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে শিক্ষাবর্ষও টালমাটাল হতে পারে। যাদবপুরের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে মেধাবী পড়ুয়ারা নিরুপায় হয়ে অন্যত্র ভর্তি হতে পারেন বলেও শিক্ষকদের আশঙ্কা।
এ দিনই কলেজ স্ট্রিট-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র সংগঠন ডিএসও। স্নাতকে দ্রুত ভর্তির নির্দেশিকা প্রকাশের আর্জি জানিয়ে ডিএসও-র তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেলও করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরে তিন সপ্তাহ কেটে
গেলেও অভিন্ন পোর্টালে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি উচ্চ শিক্ষা দফতর। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলও একই কারণে প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি। ভর্তির ক্ষেত্রে ওবিসি সংরক্ষণ নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের শীর্ষ মহল ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চ স্তরের আইনি পরামর্শ নিচ্ছে বলে খবর।