এসএসসি: নিয়োগের নতুন বিধি প্রকাশ! নম্বর বিভাজনে কী বদল, চাকরিহারা শিক্ষকেরা নয়া নিয়ম থেকে কতটা সুবিধা পেতে পারেন?
আনন্দবাজার | ৩০ মে ২০২৫
স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আগে নতুন বিধি প্রকাশিত হল। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে ওই গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে। নয়া বিধি অনুসারে, জোর দেওয়া হয়েছে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার উপরে।
লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ৬০ নম্বরের। আগে এটি ছিল ৫৫ নম্বরের। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে থাকবে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। আগে এটি ছিল ৩৫ নম্বর। ইন্টারভিউয়ে ক্ষেত্রে নম্বর আগেও সর্বোচ্চ ১০ ছিল, এখনও তা-ই রাখা হয়েছে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার উপর দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। এ ছাড়া ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’-এর জন্যও সর্বোচ্চ ১০ নম্বর রাখা হচ্ছে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’— দু'টিই নতুন সংযোজিত হয়েছে। এই দু’টি মিলিয়ে সর্বোচ্চ মোট ২০ নম্বর রাখা হয়েছে।
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির হিসাবে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়োগের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ ছাড়া, তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্য অনগ্রসর শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুসারে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন।
বিধি অনুসারে, মেধাতালিকা (প্যানেল) এবং অপেক্ষমান মেধাতালিকা (ওয়েটিং লিস্ট)-র মেয়াদ থাকবে প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে এক বছর পর্যন্ত। তবে রাজ্য সরকারের আগাম অনুমতি নিয়ে সেগুলির মেয়াদ আরও ছ’মাস বৃদ্ধি করতে পারবে কমিশন।
নতুন পরীক্ষাবিধিতে বলা হয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দু’বছর লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিট সংরক্ষণ করতে হবে। তার পরে সেগুলি নষ্ট করা যেতে পারে। তবে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর ১০ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত করতে হবে। নতুন পরীক্ষাবিধিতে ওএমআর শিট সংরক্ষণের উপর যে জোর দেওয়া হতে পারে, তা আগেই অনুমান করেছিলেন অনেকে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত পরীক্ষাবিধিতেও তেমনটাই প্রতিফলিত হয়েছে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের মতে, “নিয়োগের জন্য যে নিয়োগবিধি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আগের নিয়োগবিধির তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে ‘দাগী’ নন, এমন চাকরিহারাদের কিছুটা সুবিধা হবে বৈকি। কিন্তু যাঁরা নতুন পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁরা অসন্তুষ্ট হতে পারেন।”
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নিয়োগবিধিতে উচ্চ প্রাথমিকের (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম) শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে। বিধি অনুসারে, উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের জন্য আগের মতো এখনও টেট পাশ বাধ্যতামূলক। টেটের প্রাপ্ত নম্বরের সর্বাধিক গুরুত্ব থাকবে সর্বোচ্চ ৪০ নম্বরের। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৫ নম্বরের। ইন্টারভিউয়ের জন্য ১৫ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার উপর ও শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ নম্বর করে বরাদ্দ হয়েছে।