শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ৩১ মে-র মধ্যে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের (Teachers Recruitment Process) প্রক্রিয়া শুরুর করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই কাজ করছে স্কুল শিক্ষা দফতর। আর সেইমতোই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই নয়া পরীক্ষাবিধি প্রকাশিত হল।
সুপ্রিম কোর্ট ৩১ মে’র মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে আগামী ৩০ মে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে এই দিনই শীর্ষ আদালতে এফিডেভিট দাখিল করতে চলেছে এসএসসি।
নয়া বিজ্ঞপ্তিতে কী বিধি নিষেধ শিক্ষা দফতরের?
শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই ২১ বছর থেকে ৪০ বছর বয়সীদের আবেদনে সুযোগ। নম্বরের ক্ষেত্রে নতুন করে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য বরাদ্দ ১০ নম্বর। লেকচার ডেমনস্ট্রেশনের জন্যও বরাদ্দ ১০ নম্বর। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক নয় এবার স্নাতক বা স্নাতকোত্তরে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মিলবে ১০ নম্বর।
মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এই ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বর সর্বোচ্চ দেওয়া হবে এডুকেশন কোয়ালিফিকেশনের জন্য। যেখানে ৬০ শতাংশের ওপরে পেলে ১০ নম্বর দেওয়া হবে। ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যে পেলে ৮ ও ৫০ শতাংশের নিচে পেলে ৬ নম্বর দেওয়া হবে। কোনও সরকারি অথবা সরকার অনুমলিত অথবা সরকার স্পনসর্ড স্কুলে মাধ্যমিক বিভাগে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে প্রতিবছরের জন্য দু'নম্বর করে পাওয়া যাবে।
এক্ষেত্রে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর রাখা হয়েছে। ওরাল ইন্টারভিউ এর জন্য রাখা রয়েছে ১০ নম্বর। আর লেকচার ডেমোস্টেশনের জন্য রয়েছে ১০ নম্বর। নতুন নিয়মে একজন পরীক্ষার্থী তার ও এমআর সিটের ডুপ্লিকেট কপি নিয়ে। নতুন নিয়মে পরীক্ষার শেষে মডেল উত্তর কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। সেই উত্তরকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।
কেউ যদি তার নিজের খাতার ইমেজ কপি দেখতে চান অনলাইনে অর্থের বিনিময় তিনি সেটা করতে পারবেন। প্রত্যেককে লিখিত পরীক্ষায় কাট অফ মার্কস পেতে হবে। কাউন্সিলিং হবে ওয়ান ইসটু ওয়ান পয়েন্ট সিক্স এই অনুপাতে। ওয়েবসাইটে প্রত্যেক ক্যান্ডিডেট ফলপ্রকাশের পরে প্রতি সেক্টরে কত নম্বর পেয়েছেন তা দেখতে পারবেন। কাট অফ মার্কস এবং ফাইনাল নম্বর দেখতে পারবেন। ওএমআর শিট এর ইমেজ কপি ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হবে।
প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কোনও কাউন্সিলিং হবে না। আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ২১ এবং সর্বোচ্চ বয়স ৪০ রাখা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় প্রযোজ্য।