নিখোঁজ থাকার দু’দিন উদ্ধার হলো নাবালিকার দেহ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোন্নগরের নপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ওই নাবালিকার দেহ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ১৩ বছর বয়সি ওই নাবালিকার বাড়ি কানাইপুর এলাকায়। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকাল থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ওই নাবালিকার। এই নিয়ে খোঁজ শুরু করার পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার দেহ উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবেশী অসীম মজুমদার ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই তাকেও পাওয়া যাচ্ছিল না।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই গেপ্তার করা হয়েছে অসীমকে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি জানিয়েছেন, ডানকুনির খরিয়াল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অসীমকে। তার বিরুদ্ধে খুন ,দেহ লোপাট করা-সহ একাধিক ধারায় মামলার রূজু করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্নিফার ডগ নিয়ে ওই নাবালিকার খোঁজ শুরু হয়। এলাকার চারদিক খুঁজে দেখাও হয়। পরে সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে নপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানকার একটি ফাঁকা মাঠে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিল নাবালিকার দেহ। স্থানীয়দের কাছে খবর পাওয়ার পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে।
এ দিকে, ওই নাবালিকার দেহ তাদের দেখতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবারের লোকজন। তাদের দাবি, তাদের কাউকে দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করার পরেই অ্যাম্বুলেন্সে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কেন বলেও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এই দাবি জানিয়ে কোন্নগড় পুলিশ ফাঁড়িতেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার দেহ সনাক্ত করেছে তার পরিবারের সদস্যই। কী কারণে তাকে খুন করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।