• ঘনিয়েছে দুর্যোগ, বিপর্যয় মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা? জরুরি বৈঠকের পর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
    প্রতিদিন | ৩০ মে ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গে দুর্যোগের মেঘ। শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ এগিয়ে আসছে নিম্নচাপ। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস শুনিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই অবশ্য তার প্রভাব পড়েছে জেলায় জেলায়। কলকাতাতেও টানা বৃষ্টি। আসন্ন দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে সেই বৈঠকে দুর্যোগ সামলাতে একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাজ্যবাসীকে এনিয়ে সতর্ক করেছেন। সেইসঙ্গে এও জানিয়েছেন, আতঙ্কের কারণ নেই। বিপর্যয় মোকাবিলায় সবরকমভাবে প্রস্তুত প্রশাসন।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”আবহাওয়া নিয়ে একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। ইতিমধ্যে উপকূলে বৃষ্টি হচ্ছে। নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে সরানোর কাজ চলছে। উপকূলে বাড়তি সতর্কতাও নেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে স্নান করতে যাবেন, দুর্যোগের পরিবেশ থাকায় তাঁদের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে। যাতে কোনও বিপর্যয় এলে সঙ্গে সঙ্গে দুর্গতদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলায় জেলায় আমাদের ত্রাণ প্রস্তুত রয়েছে। কারও কোনও অসুবিধা হবে না।”

    আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, বঙ্গোপসাগরের শক্তিশালী নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রবল বৃষ্টিতে ভিজবে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। বেশ কিছু জেলায় অতি ভারী বর্ষণের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্রও উত্তল থাকবে। মৎস্যজীবীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও জানালেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। তা মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে উপকূলীয় এলাকায়। ইতিমধ্যে ভারী বৃষ্টিতে ও সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুরের পশ্চিমে ৬০০ মিটার মাটির তৈরি বাঁধ ভেঙে ৬০ থেকে ৬৫টি বাড়ি জলমগ্ন। জলের নিচে চাষের জমি। পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা জানিয়েছেন, রিং বাঁধ তৈরির জন্য সেই বাঁধের আগে পূর্বদিকে ৩০০ মিটার এবং পশ্চিমদিকে ৬০০ মিটার মাটির নদীবাঁধ তৈরি হয়েছিল। সেই বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জলমগ্ন ও বিপদগ্রস্ত মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও তেমনটাই জানালেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)