নারায়ণ সিংহরায়: এবার 'IAS অফিসার' প্রতারণা! ৪৬ লক্ষ টাকার খোয়া গেল কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার। মূল অভিযুক্ত-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনাটি শিলিগুড়িতে।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতেরা হল সুরজিত্ রায় ওরফে আলবোরনি সরকার,বর্ণা রায়, বিপ্লব রায় ও রাম নিবাস যাদব। ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, কয়েক বছর আগে এক অচেনা নম্বর থেকে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে সুরজিত্। নিজেকে IAS অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিল সে। জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়েরই আরেক শিক্ষিকার কাছ থেকে নম্বর পেয়েছে। এরপর নিয়মিত কথা হতে থাকে দু'জনের। ধীরে ধীরে বাড়ে ঘনিষ্ঠতাও।
ওই শিক্ষিকার দাবি, তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল সুরজিত্। এর কয়েকদিন পর থেকেই নানা অছিলায় টাকা চাইতে শুরু করে সে। ভালোবাসার মানুষকে বিশ্বাস করে বিভিন্ন অ্য়াকাউন্টে ৪৬ লক্ষ টাকা পাঠিয়েও দেন ওই শিক্ষিকা। নিজের বেতন তো বটেই, সোনার গয়না বন্ধক রাখেন। এমনকী, বিক্রি করে দেন বাবার দোকানও।
ওই শিক্ষিকা পুলিসকে জানিয়েছেন, একবার শিলিগুড়ি জংশনে দেখা করার পর, তাঁর গলা থেকে কার্যত হার ছিনিয়ে নেয় সুরজিত্। সেই আচরণ ও সুরজিতের টাকা চাওয়ার প্রবণতাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে। ১৮ মে শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তদন্তে নেমে কোচবিহারের হলদিবাড়ি থেকে সুরজিতকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর ধরা পড়ে মাটিগাড়ার বাসিন্দা বর্ণা রায়, বিপ্লব রায় আর কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধার বাসিন্দা রাম নিবাস যাদব।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে যে ৪৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিল সুরজিত্, তারমধ্যে ১৮ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে বর্ণার অ্যাকাউন্টে। আর বাকি টাকা গিয়েছে বিপ্লব ও রামনিবাসের অ্যাকাউন্টে। সুরজিতের আসল নাম আলবোরনি সরকার। সে বিবাহিত, এক সন্তানের বাবা। হলদিবাড়ি থানায় POSCO মামলায় অভিযুক্ত সুরজিত্।