শরীরের উপরের অংশটি মানুষের মতো, নীচের অংশটি দেখতে মাছের মতো। এ রকমই দেখতে শিশু জন্ম নিয়েছিল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল সেই ছবি। জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে এরকম অদ্ভুত দর্শনের শিশু জন্মের ঘটনায় হইচই পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমা হাসপাতালে স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের অধীনে এক প্রসূতি ভর্তি হন। তাঁর অবস্থা জটিল হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই অস্ত্রোপচার করার দরকার পড়ে। যে শিশুটি জন্ম নেয়, তার শরীরের নীচের অংশটি অনেকটা মাছের লেজের মতো দেখতে হয়।
শিশুটিকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসকরা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এসএনসিইউতে রেখে বিশেষ চিকিৎসা শুরু করেন। অবশ্য সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ভোরের দিকে শিশু কন্যাটির মৃত্যু হয়।
কেন এমন অদ্ভুত দর্শনের শিশুর জন্ম? চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই ধরনের বেবিকে ‘মারমেড বেবি’ বলা হয়। সাধারণত জেনেটিক কারণেই এরকম হয়ে থাকে। এই ধরণের শিশুকে বাঁচানো খুব কঠিন হয়। ডাক্তারি ভাষায় এটাকে সাইরেনোমিলিয়া বলা হয়। এই শিশুদের জন্মগত ত্রুটি থাকে। পা দুটো জোড়া থাকে। সমস্যা থাকে কিডনি, মূত্রাশয় আর অন্যান্য তলপেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গে। তবে ওই প্রসূতি সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।