বাংলায় আগেভাগেই বর্ষা। নির্ধারিত সময়ের দশ দিন আগে উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়ল বর্ষা, বৃহস্পতিবার জানিয়েছে মৌসম ভবন। উত্তরবঙ্গের সঙ্গেই এ দিন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ছাড়িয়ে সিকিম এবং বিহারের কিছু অংশেও ঢুকে গিয়েছে বর্ষা। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ মৌসুমী অক্ষরেখা বালুরঘাটের উপর দিয়ে গিয়েছে।
কেরালায় ১ জুন বর্ষা ঢোকার কথা। তার বেশ কয়েকদিন আগে ২৪ মে কেরালায় বর্ষা ঢুকে পড়েছিল। এ বার ২৯ মে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বঙ্গোপসাগরের উপর যে আবহাওয়া পরিস্থিতি এখন রয়েছে, যে অতি গভীর নিম্নচাপ রয়েছে, সেটাই আগেভাগে বর্ষা ঢুকতে সাহায্য করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা ঢুকবে, সেটা এখনও জানাননি আবহাওয়াবিদেরা।
২৯ মে অতিগভীর নিম্নচাপ রায়দিঘির কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। ২৯ মে, সকাল সাড়ে দশটা থেকে সকাল সাড়ে এগারোটার মধ্যে ভারতে সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝের উপকূল এলাকা রায়দিঘির কাছ দিয়ে অতিক্রম করেছে। এটির আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে।
২৯ মে, দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে, বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ৩০ মে, শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
২৯ মে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের এক-দুই স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অন্য জেলাগুলিতে কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ৩০ মে, শুক্রবার উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কালিম্পং, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। মালদা ও দুই দিনাজপুরের কিছু এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।