• অনলাইনে অর্ডার দিয়ে কেনেন ছুরি, মা-বাবাকে খুন করে বনগাঁয় কেন এসেছিলেন অভিযুক্ত হুমায়ুন?
    এই সময় | ২৯ মে ২০২৫
  • বর্ধমান টু বনগাঁ। প্রায় ১৩৫ কিমি রাস্তা পেরিয়ে বনগাঁয় কেন এসেছিলেন হুমায়ুন কবির? কী উদ্দেশ্য ছিল তাঁর? খোঁজ করছে পুলিশ। বুধবার ভোররাতে প্রথমে বাবা-মাকে খুন, পরে বনগাঁর মাদ্রাসায় হামলায় অভিযুক্ত হুমায়ুনকে কবীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।বৃহস্পতিবার তাঁকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে নিয়ে আসা হয়। রাতভর পুলিশ জেরায় উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ধমানে নিজের মা-বাবাকে হত্যা করে কোনওভাবে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল হুমায়ুন।সেই উদ্দেশে সে বনগাঁয় ঢুকে পড়েন।বাসে করেই বনগাঁ আসেন। সেখানে মাদ্রাসায় ঢুকেও হামলা চালিয়েছিল হুমায়ুন। সেখানেও একাধিকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।

    জানা গিয়েছে, অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ওই অস্ত্রটি কিনেছিলেন তিনি। তা দিয়েই বাবা-মাকে হত্যার পর সঙ্গে রেখে দিয়েছিলেন। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, বনগাঁয় একটি মাদ্রাসায় প্রার্থনা করতে ঢুকেছিল বলে দাবি করছেন হুমায়ুন। সেখানে তাঁর পরিচয় জানতে চাওয়ায় কয়েকজনের সঙ্গে বচসা লাগতেই সে এলোপাথাড়ি হামলা চালায়।

    হুমায়ুনের বিগত তিন থেকে চার বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। দিল্লির এক প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন হুমায়ুন। পরে সেই চাকরি যায়। যদিও পরিবারের একটি সূত্রে খবর, তিনিই নিজে চাকরি ছেড়েছিলেন। এরপর নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। হিমাচল প্রদেশে তাঁর খোঁজ মেলে।

    অভিযোগ, পরে হুমায়ুনের সঙ্গে পরিবার যোগাযোগ করে। পরিবারের লোকজন সেখানে পৌঁছলে অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় হুমায়ুন পাথর ছুড়ে হামলা চালায়। সেখান থেকে বর্ধমানের মেমারির বাড়িতে তাকে ফিরিয়ে আনা হয় এবং পরিবারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাকে চিকিৎসা করানো হবে। অভিযোগ, আর এই খবর হুমায়ুন জানতে পেরে গতকাল সকালে তার মা ও বাবাকে নৃশংসভাবে খুন করে বনগাঁর উদ্দেশ্যে আসে। বর্ধমানে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় হুমায়ুন কবির ওই খুনের পর কিছুটা বিচলিতভাবেই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ খানিকটা গতিতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। এর পরেই বনগাঁয় চলে আসে হুমায়ুন।

  • Link to this news (এই সময়)