বিধান সরকার: ঢেঁড়স তুলতে যাওয়ার সময় ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক চাষীর। বলাগড়ের জিরাটের ঘটনায় চাঞ্চল্য।
বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতিতে প্রান গেলো এক চাষীর। তার ছিঁড়ে পরে থাকলেও তাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু থাকল কেন সে প্রশ্ন গ্রামবাসীদের।
হুগলির বলাগড়ের জিরাট পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নিতাই দাস(৫৩) প্রতিদিনের মতন আজ ভোরে চাষের জমিতে যাচ্ছিলেন সাইকেল নিয়ে। জিরাট কালিতলায় রাস্তার উপরে ছিঁড়ে পড়েছিল ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার। ভোরের আধো অন্ধকারে বিদ্যুতের তার দেখতে পাননি প্রৌঢ়। রাস্তা থেকে জমিতে নামার সময় পড়ে থাকা তার আটকে যায় তার সাইকেল। এলাকায় সেই সময় মানুষজন না থাকায় বেশ কিছুক্ষণ ওই ভাবেই রাস্তায় পড়ে থাকেন তিনি। বিদ্যুতে ঝলসে যায় তার বা হাতের কব্জি। ডান পায়ের হাঁটু ও ডান হাত পুড়ে যায়।
পরবর্তী সময় স্থানীয়রা দেখতে পেলে বিদ্যুৎ দফতরে যোগাযোগ করে বন্ধ করা হয় বিদ্যুৎ। তারে তাল গাছের পাতা পরার কারনে ছিঁড়ে যায়।
ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
নিতাই দাসের দাদা স্বপন দাস জানান, 'ভাই প্রতিদিনের মতন আজও জমিতে যাচ্ছিল ভেন্ডি তুলতে। এমন ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি। বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতিতেই এমন ঘটনাটা ঘটেছে। দীর্ঘদিনের পুরনো তার যেটা ছিঁড়ে পড়েছিল বলেই ভাই মারা গেল। চাষ করে সংসার চালাতে হয়। এখন আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। ওর একটা ছেলে আর একটা মেয়ে। মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেটা নবম শ্রেণীতে পড়ে। ওরা খুবই অর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়বে। সরকার যদি কিছু সাহায্য করে তাহলে ভালো হয়।'
গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন, এমনভাবে তার ছিঁড়ে থাকে প্রায় সবসময়ই। তাঁরা তাঁদের নিরাপত্তা চাইছেন। তাঁরা বলছেন, ছিঁড়ে পড়া তার দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও নিরাপদ করতে হবে।