পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল খড়্গপুরে। আক্রান্ত IIT খড়্গপুরের গবেষক। স্বাস্থ্য দপ্তর ও আইআইটি সূত্রে খবর, ২৬ বছর বয়সি ওই পড়ুয়া-গবেষকের কোভিডের উপসর্গ থাকায় মঙ্গলবার (২৭ মে) তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার (২৮ মে) RAT বা ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়। তাতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বুধবার তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে IIT খড়্গপুরের বি সি রায় হাসপাতালে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে IIT খড়্গপুরের তরফে।
জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়া হস্টেলের একটি রুমে একাই থাকতেন। ফলে বাকি পড়ুয়াদের তেমন ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তা সত্ত্বেও ওই পড়ুয়ার সংস্পর্শে আসা কারুর যদি উপসর্গ দেখা দেয়, তাঁরও টেস্ট করানো হবে বলে জানিয়েছেন IIT কর্তৃপক্ষ। ওই পড়ুয়া সম্প্রতি গবেষণার সূত্রে (মে মাসের প্রথম সপ্তাহে) বীরভূম জেলায় গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পরই জ্বর, সর্দি, কাশি, গন্ধ না পাওয়ার উপসর্গ অনুভব করেন। তবে, ওই পড়ুয়া কোভিডের দু'টি ভ্যাকসিনই নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে। স্বাস্থ্য দপ্তর আরও জানিয়েছে, আপাতত ওই পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘আমরা IIT খড়্গপুরের এক গবেষকের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। উপসর্গ আগের মতোই। স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া, জ্বর-সর্দি, কাশি প্রভৃতি। মৃদু উপসর্গ থাকলে এবং ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ভয়ের কিছু নেই।’ পাশপাশি, সাধারণ মানুষকে আবার মাস্ক পরার এবং একে অন্যের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার অধ্যাপক ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘কোভিড টেস্ট বা ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার নির্দেশ এখনো পাইনি। তবে, আমরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
প্রসঙ্গত, কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ব্যাপক হারে কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল খড়্গপুর IIT এবং রেল কলোনি এলাকায়।