এই সময়: কলকাতার পরে জেলার রুফটপ রেস্তোরাঁতেও নজর দেবে অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে গঠিত রাজ্য স্তরের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। গত ২৯ এপ্রিল বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির একটি গেস্ট হাউসে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের।
ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয়ে রাশ টানতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যস্তরে এসটিএফ গঠনের ঘোষণা করেন। বুধবার সেই নবগঠিত এসটিএফের প্রথম বৈঠক হলো কলকাতা পুরসভার সদর কার্যালয়ে।
বৈঠকের শেষে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, ‘কোথাও ছাদ দখল করে কিছু যাবে না। জেলাতেও এখন নগরায়ণ বেড়েছে। সেখানেও হয়তো রুফটপ রেস্তোরাঁ থাকতে পারে। আমরা প্রত্যেক জেলাশাসকদের কাছ এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠাব।’
ফিরহাদ ছাড়াও এ দিনের বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকলমন্ত্রী সুজিৎ বসু, বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা-সহ টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে কলকাতা-সহ রাজ্যের অন্য জেলায় অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয় রুখতে কোন কোন উপায় অবলম্বন করা যায়, তার একটি খসড়া তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়। ফিরহাদ জানান, জেলাশাসকরা রিপোর্ট পাঠালে তা পর্যালোচনা করে একটি নির্দেশাবলি তৈরির জন্য ফের বৈঠক ডাকা হবে। তারপরে সেটা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার কাছে পাঠানো হবে।
বৈঠকে মন্ত্রীদের তরফে জানানো হয়, রাজ্য জুড়ে অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি সংস্থা, আবাসনেও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে ফায়ার অডিট করা হবে।
এসটিএফের সদস্যরা এই প্রক্রিয়াকে ‘থার্ড পার্টি ফায়ার অডিট’ বলে উল্লেখ করেছেন। ফের বৈঠকে বসার আগে এই ‘থার্ড পার্টি ফায়ার অডিট’-এর রিপোর্টও বিশ্লেষণ করবে এসটিএফ। এই কাজে রুফটপ, রেস্তোরাঁ, বাজার, অফিস, বড় বহুতল আবাসনে অগ্নিকাণ্ড এড়াতে অডিটররা যে পরামর্শ দেবেন, রাজ্য নির্দেশাবলিতে সেইসব পরামর্শকেও যুক্ত করা হবে।