• জ়িরো FIR-এ গণধর্ষণের মামলা শুরু কলকাতায়
    এই সময় | ২৯ মে ২০২৫
  • এই সময়: গণধর্ষণের ঘটনা কলকাতার, গণধর্ষণে অভিযুক্তরা আবার ‘ভিক্টিম’–এরই আত্মীয়। তিন বছর আগে গণধর্ষণের শিকার সেই কিশোরী আজ বছর উনিশের তরুণী। তাঁর বাড়ি হরিয়ানার মুর্থাল এলাকায়। সেখানেই তাঁর করা এফআইআর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতার হেস্টিংস থানায়।

    যে থানা এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। হেস্টিংস থানা ইতিমধ্যে তদন্তও শুরু করেছে। ঘটনার সময়ে অভিযোগকারিণী কিশোরী ছিলেন বলে মামলা রুজু হয়েছে পকসো আইনেও

    কলকাতার হেস্টিংস থানা এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করল জ়িরো এফআইআরের ভিত্তিতে। জ়িরো এফআইআর অর্থাৎ অপরাধের ঘটনাস্থল যেখানেই হোক, ভারতের যে কোনও থানায় সে ব্যাপারে এফআইআর করা যাবে।

    কোন থানা এলাকার আওতায় বিষয়টি পড়বে, তা নিয়ে টালবাহানায় যাতে তদন্ত শুরু করায় দেরি না–হয়, যাতে পুলিশি পদক্ষেপ দ্রুত হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। হরিয়ানার মুর্থাল পুলিশ ৮ মে কলকাতা পুলিশকে জ়িরো এফআইআরের বিবরণ পাঠিয়ে দেয়। তার পর হেস্টিংস থানা এফআইআর করেছে।

    ঘটনার বছর তিনেক পর ওই তরুণী সবিস্তার অভিযোগ করেছেন কৈশোরে তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের ব্যাপারে। সেই সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর। পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, কিশোরীকে উচ্চশিক্ষার কথা বলে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল দিদির শ্বশুরবাড়ির কয়েক জন, তবে ওটা ছিল আসলে ফাঁদ।

    ঘটনাটি ঘটে হেস্টিংস থানা এলাকার অন্তর্গত একটি বাড়িতে। নিগৃহীতার অভিযোগ, ২০২২–এর অগস্টে তাঁর ভগ্নীপতি ও ভগ্নীপতির ভাই মাদক খাইয়ে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালায়।

    গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর আরও অভিযোগ, সেই সময়ে তিনি ঘটনার কথা তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের জানানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা তাঁর ছোট ভাইয়ের চরম ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছিল। তার পর ব্ল্যাকমেল করে আরও কিছু দিন ওই কিশোরীর উপর যৌন অত্যাচার চালানো হয়েছিল।

    নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁর দিদি প্রায়শই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতেন। পরে নির্যাতিতাকে ওই বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, হেস্ট্রিংস থানা ঘটনার বিবরণ পেয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের তরফে সবটা জানানো হয়েছে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকেও (সিডব্লিউসি)।

    পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার বয়ান আগে রের্কড করা হবে। তিন বছর আগে হওয়া ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে এতদিন তিনি কোথায়, কাদের কাছ থেকে এবং কী পরিস্থিতির জন্য বাধা পেয়েছিলেন, সেটাও তদন্তকারীরা জানতে চান।

  • Link to this news (এই সময়)