সিকিম যেতে পারলেন না মোদী, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাতিল সফর, বাগডোগরা থেকে ভার্চুয়াল কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী
আনন্দবাজার | ২৯ মে ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিকিমে যেতে পারলেন না। বৃহস্পতিবার সকালে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী তিনি উত্তরবঙ্গে পৌঁছোন। বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে তাঁর সিকিমে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সিকিম সফর বাতিল করতে হয়েছে। বাগডোগরা থেকে প্রধানমন্ত্রী সিকিমের কর্মসূচিতে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বক্তৃতা করেছেন। এর পর আবহাওয়া অনুকূল হলে কপ্টারে রওনা দেন আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশে।
সকাল ১০টার আগেই বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। কথা ছিল, বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে সোজা সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আকাশ মেঘলা থাকায় উড়তেই পারেনি কপ্টার। বিমানবন্দরে বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিন দিক দিয়ে চিন পরিবেষ্টিত পাহাড়ি রাজ্য সিকিম এখন ভারতভুক্তির ৫০ বছর উদ্যাপন করছে। প্রধানমন্ত্রীর সিকিম সফর ছিল তারই অন্যতম অঙ্গ। সিকিমে একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধনের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর একটি মূর্তি উন্মোচনও করতেন। সেই অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাগডোগরা থেকেই সিকিমের ওই অনুষ্ঠানগুলিতে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে যোগ দেন মোদী।
বৃহস্পতিবার বেলায় আলিপুর প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীর জোড়া কর্মসূচি রয়েছে। প্রথমে প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এই ‘নগর গ্যাস সরবরাহ’ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই জেলায় আড়াই লক্ষ পরিবারকে পাইপলাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পের মোট খরচ ১০১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া, ওই প্রকল্পের অধীনে শতাধিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। দুই জেলায় ১৯টি সিএনজি স্টেশনও তৈরি করার কথা আছে, যাতে সিএনজি চালিত যানবাহনে জ্বালানি ভরার সমস্যা কমে।
বিকেল ৩টে নাগাদ আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রশাসনিক মঞ্চের অদূরে রাজনৈতিক সভার মঞ্চে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। সম্প্রতি গুজরাত এবং রাজস্থানের জনসভায় পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাত এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন মোদী। প্রতি ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রীর সুর ছিল চড়া। বাংলার সভা থেকেও সেই বার্তা তিনি দেন কি না, সে দিকে সকলের নজর রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের এক বছরও বাকি নেই। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে সেই নির্বাচন মাথায় রেখেও সুর চড়াতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।