এই সময়, ঘোলা: বহুতল আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে ঘাঁটি গেড়েছিল দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। গোপন সূত্রে পাওয়া খবর ভিত্তিতে ওই ফ্ল্যাটে মঙ্গলবার রাতে ঘোলা থানার পুলিশ হানা দিয়ে দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আবু তাহের মোল্লা ও আসমা খানম। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইলে। ধৃতদের এ দিন ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোদপুর, পানিহাটি অঞ্চল জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটির বিবেকানন্দ পার্কের এক আবাসনে রিয়া রায় নামের এক মহিলার ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি অদিতি পাত্র নামের এক মহিলাকে ওই ফ্ল্যাট সম্প্রতি ভাড়া দিয়েছিলেন।
আবাসিকরা দেখেন ওই ভাড়াটিয়া ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যে আসতেন। কিন্তু ফ্ল্যাটে বহিরাগতদের ভিড় লেগেই থাকে। সম্প্রতি তাঁরা অদিতি পাত্রকে এ নিয়ে অভিযোগও জানান। কিন্তু তিনি উল্টে আবাসিকদের কটাক্ষ করেন বলে অভিযোগ। তিতিবিরক্ত আবাসিকরা ফ্ল্যাটের আসল মালিককেও বিষয়টি জানান। তাতেও লাভ হয়নি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফের ওই ফ্ল্যাটে বহিরাগতদের দেখে আবাসিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ঘোলা থানায় খবর দেওয়ার পাশাপাশি ফ্ল্যাটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে ওই ঘর থেকে দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছে, ধৃতরা সম্পর্কে ভাই বোন। গত মাসের ২৪ তারিখ বনগাঁ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে তারা ঢুকেছিল এ দেশে। তাদের সঙ্গে একটি ছোট শিশুও রয়েছে। কিন্তু ঘোলায় তারা কী উদ্দেশ্যে এসেছিল, কী ভাবে তারা এল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ওই ফ্ল্যাটের আদত ভাড়াটিয়া অদিতি পাত্রকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। আবাসিকদের দাবি, আরও বহু মানুষ ওই ফ্ল্যাটে আসত। ফলে ওই ফ্ল্যাট থেকে আরও বহু বাংলাদেশি দেশের অন্যত্র গিয়েছে বলে অনুমান আবাসিকদের।
চলতি মাসের প্রথম দিকে রহড়া থানার পুলিশ মজনু গাজি, মহম্মদ কামাল শেখ ওরফে ইদ্রিস আলি ও মেহেদি হাসান নামের তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছে, ধৃতরা আওয়ামি লিগ ও তাদের ছাত্র সংগঠন যুবলিগের পদস্থ নেতা। গত অগস্ট মাসে তাঁরা এই রাজ্যে ঢুকেছিলেন।