এই সময়: বঙ্গের মাটিতে পা রাখার আগেই বঙ্গ-রাজনীতির পারদ চড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাল্টা জবাব এল তৃণমূলের তরফেও।
আজ, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডের রাজনৈতিক সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী কী বলেন, সে দিকে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। তার আগেই বুধবার স্বয়ং নরেন্দ্র মোদীই বুঝিয়ে দিলেন, ২৬–এর বিধানসভা ভোটের দামামা বাজাতেই তিনি বাংলায় আসছেন।
নিজের এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ারে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির জনসভায় আমি হাজির থাকব। গত এক দশকে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের প্রংশসা কুড়িয়েছে।’ পরের বাক্যেই মোদী লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতি আর অপশাসনে ক্লান্ত।’
মোদীর আক্রমণের জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রীর পোস্টকে ট্যাগ করে তৃণমূল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছে, ‘পরিযায়ী পাখিরা বাংলায় তাদের মরশুমি ভ্রমণ শুরু করেছে। একটা সহজ প্রশ্ন তাদের করতেই হয়, কেন্দ্রীয় সরকার কেন রাজ্যের ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার ন্যায্য বকেয়া আটকে রেখেছে?’
এরপর হ্যাশট্যাগ দিয়ে তৃণমূল আরও লিখেছে, ‘আয়ে হো তো বাতাকে যাও।’ গেরুয়া উত্তরীয় পরা একটি পরিযায়ী পাখির ছবিও লেখার সঙ্গে পোস্ট করা হয়েছে তৃণমূলের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডল থেকে। পাখিটির গলায় উত্তরীয়তে বিজেপির প্রতীক পদ্মফুল আঁকা।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগের দিনেই যুযুধান দুই শিবিরের তাল ঠোকাঠুকি দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, আজ, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বনাম বিজেপির রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি আরও জোরদার হতে চলেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর চাপ বাড়াতে বিজেপি চাইছে কয়েক জন চাকরিহারা শিক্ষককে মোদীর সঙ্গে দেখা করাতে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে চিঠি লিখে আবেদনও জানিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। যদিও এ বিষয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি।
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক সভার পাশাপাশি রাজনৈতিক সভাও করবেন মোদী। জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক সভা থেকে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার জন্য ১০১০ কোটি টাকার নগর গ্যাস সরবরাহ (সিজিডি) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে রাজনৈতিক সভায় সিজিডি প্রকল্পের কথা টেনে মোদী নিজের ঢাক পেটাবেন বলেই ধরেই নিয়েছে তৃণমূল। তাই এ দিন তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরোনো বক্তৃতার একটি অংশ পোস্ট করা হয়। সেখানে মমতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে আলিপুরদুয়ারের উন্নয়নের জন্য তিনি কী কী করেছেন।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সভায় শেষ পর্যন্ত যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ নগেন রায় (অনন্ত মহারাজ)। গত কয়েক দিন ধরেই সভায় তিনি যাবেন না বলে বলছিলেন।