• পর পর চারজনকে ছুরিকাঘাত! অভিযুক্তকে ছাড়াতে বনগাঁ থানায় চড়াও জনতা, তাণ্ডবে ধৃত আরও ১০
    আনন্দবাজার | ২৮ মে ২০২৫
  • উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানা এলাকায় একটি মাদ্রাসায় প্রবেশ করে চার জনকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে হুমায়ুন কবিরকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুসন্ধানে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন। ৩৫ বছর বয়সি ওই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এল, একদল উত্তেজিত জনতা থানায় চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁরা থানা ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। ওই ঘটনায় আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানায় চড়াও হওয়া বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।

    বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার দীনেশ কুমার জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই ছুরিকাঘাতের খবর পায় বনগাঁ থানা। সেই মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং জখম চারজনকে বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। হামলাকারী যুবককেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্ত নিজকে বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা বলে দাবি করছেন। ওই অভিযুক্ততে থানায় নিয়ে আসার পর প্রায় ১০০-১৫০ জন থানায় চড়াও হন। অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দাবি করতে থাকেন উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সামান্য বলপ্রয়োগ করে উত্তেজিত জনতাকে সেখান থেকে হঠিয়ে দেয়।

    পরে বনগাঁর পুলিশ সুপার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জানান, ওই বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এবং থানায় ভাঙচুরেরও চেষ্টা করেন তাঁরা। ওই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সাম্প্রদায়িক যোগ নেই। বুধবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনও গুজব না ছড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বনগাঁর ওই ঘটনার পরে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও আশ্বস্ত করেছে পুলিশ সুপার।

    বুধবার রাতেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে ছ'জন পুলিশকর্মীর একটি দল বনগাঁর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। সার্কেল ইনস্পেক্টর (বি) বিশ্বজিৎ মণ্ডলের নেতৃত্বে পুলিশকর্মীদের ওই দলে মোট ৬জন সদস্য রয়েছেন। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই বনগাঁ থানায় যাচ্ছেন তাঁরা।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)