নদিয়ার কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট হবে কি না, এই প্রশ্নে মঙ্গলবার নিজের মত জানিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আলোচনার ‘মোড়ক’ রাখলেও সেলিম এক প্রকার বলেই দিয়েছিলেন যে, ওই আসনে সিপিএমের প্রতীকে প্রার্থী দাঁড় করাবেন তাঁরা। কিন্তু এ বিষয়ে বুধবার বামফ্রন্টের বৈঠকে ঐকমত্যেই পৌঁছোনো গেল না। বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার ফের বৈঠকে বসতে পারেন ফ্রন্টের নেতারা।
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানে দলীয় কর্মসূচির ফাঁকে জোটের প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘আমরা মনে করি ওখানে (কালীগঞ্জে) বামফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী হলে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে জুতসই লড়াই হবে। বুধবার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক রয়েছে। তার পর বামফ্রন্টে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা কংগ্রেসের সঙ্গেও কথা বলব। তাদের জানিয়েই ওখানে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিএম প্রার্থী দেওয়া হবে।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছোতে পারলেও ফ্রন্টের বৈঠকে বেঁকে বসল শরিকেরা।
১৯৭৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কালীগঞ্জে লড়ত আরএসপি। ২০১৬ এবং ২০২১ সালের ভোটে বামেদের সমর্থনে লড়েছিল কংগ্রেস। ২০১৬ সালে জয়ও পেয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। সিপিআই, আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক— তিন শরিকদলই সিপিএমের লড়ার প্রস্তাবকে খারিজ করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, সিপিএম বাদ দিয়ে বাকি তিন শরিক চায়, ওই আসনে আরএসপি লড়ুক। আর যদি কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া হয়, তা হলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক। কোনও ভাবেই সিপিএম-কে লড়তে দিতে চায় না শরিকেরা।
বামেরা আদৌ কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে পারবে কি না, পারলে তা কবে হবে, এ নিয়ে সিপিএমের অন্দরে প্রশ্ন রয়েছেই। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, একের পর এক নির্বাচনে যখন জামানত রক্ষা করাই দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে, তখন এত বিতর্কের অর্থ কী? উল্লেখ্য, আগামী ১৯ জুন কালীগঞ্জে উপনির্বাচন। ২৩ জুন ফলপ্রকাশ। ইতিমধ্যে তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই আসনে প্রার্থী করেছেন প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের কন্যা আলিফা আহমেদকে।