অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন নীতি তৈরির পথে রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত টাস্ক ফোর্স রিপোর্ট দেবে মমতাকে
আনন্দবাজার | ২৮ মে ২০২৫
রাজ্য জুড়ে বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন নীতি প্রণয়ন করার কথা জানালেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গঠিত হয়েছিল ১৫ সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্স। বুধবার কলকাতা পুরসভায় সেই টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠক শেষে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। কলকাতার মেয়র বলেন, “আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই টাস্ক ফোর্স তাদের রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জমা দেবে। রিপোর্টে থাকবে ফায়ার সেফটি নিয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশ ও এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর)। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে ফায়ার অডিটের উপরে। দমকল দফতরের পাশাপাশি নিরপেক্ষ থার্ড পার্টি দ্বারা অডিট করানো হবে।” সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পর নীতি ঠিক করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর দেবেন মুখ্যমন্ত্রীই।
বৈঠকে কলকাতার মেয়র ছাড়াও নিজেদের মতামত দেন পুর আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বৈঠকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম এবং ফায়ার ডিরেক্টর রণবীর কুমারও নিজেদের পক্ষ রেখেছেন। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার খোলনলচে বদল আনতে এই টাস্ক ফোর্স কাজ করবে। প্রতিটি সংশ্লিষ্ট দফতর যেমন দমকল, পুলিশ, আবাসন ও পঞ্চায়েত দফতর যৌথভাবে এই কাজে অংশ নেবে। আগুন লাগলে তা কী ভাবে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, কী ভাবে পরিকাঠামোগত ঘাটতি পূরণ করা যায়, সেই নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “শহরের বিভিন্ন এলাকায় রুফটপ রেস্তরাঁ ও ক্যাফেগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই সেগুলির জন্য এসওপি তৈরি হয়েছে, এ বার তা কার্যকরভাবে বলবৎ করা হবে। জেলা স্তরেও যে কমিটি গঠন হয়েছে, তাদের রিপোর্ট একত্রিত করে সামগ্রিকভাবে রিপোর্ট প্রস্তুত করা হবে।”
টাস্ক ফোর্সের কাজ রাজ্য জুড়ে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনার নবআঙ্গিকে রূপ দেবে বলেই আশাবাদী পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। মেয়র বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবার আর সময় নষ্ট নয়, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চাই আমরা।”