পোষ্য কামড়ালে দায় মালিকেরই, হতে পারে ফৌজদারি মামলাও, জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট
আনন্দবাজার | ২৮ মে ২০২৫
পোষ্য যাতে কাউকে না কামড়ায় বা কারও ক্ষতি করতে না পারে, তা দেখার দায়িত্ব মালিকেরই। স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
এক পোষ্যমালিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার শুনানিতে উচ্চ আদালতের বিচারপতি উদয় কুমার বলেছেন, ‘‘সারমেয়র আক্রমণে মানুষের নানাবিধ ক্ষতি হতে পারে। জীবন সংশয়ের মতো পরিস্থিতিও তৈরি পারে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে পোষ্য যাতে কারও ক্ষতি করতে না পারে, তার জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে হবে মালিককেই।’’
২০২২ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে একটি আবাসনের ছাদে এক ব্যক্তির উপর আক্রমণ করে ১০-১২টি সারমেয়। অভিযোগ, তাতে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম ওই হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। পরে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, সারমেয়র মালিকের গাফিলতির কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে। চেন দিয়ে বেঁধে রাখা ছিল না বলেই সারমেয়গুলি আক্রমণ করেছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পোষ্যমালিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। তার বিচারও চলছে বারুইপুর আদালতে। ওই মামলায় সদ্যই চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। এর পরেই ফৌজদারি মামলা খারিজের আর্জি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই পোষ্যমালিক।
আদালতে পোষ্যমালিক জানান, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সঠিক নয়। তাঁর ১০-১২টি পোষ্য নেই। একটাই পোষ্য। শুধু তা-ই নয়, পোষ্যমালিকের দাবি, অভিযোগকারীর মেডিক্যাল রিপোর্টও বলছে, তাঁর কোনও আঘাত লাগেনি।
বিচারপতি জানান, তদন্তে কোনও গাফিলতি হয়েছে কি না, তা বিচারপ্রক্রিয়ার সময়ে ঠিক হবে। সেখানে অভিযুক্তও নিজের বক্তব্য দাবি তুলে ধরতে পারেন। পাশাপাশিই বিচারপতি বলেন, ‘‘অভিযোগকারী কোনও চোট না পেলেও, ১০-১২টা সারমেয় যদি আক্রমণ করে, তা হলে আঘাত লাগতেই পারে। মনেও এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যদি সত্যিই সারমেয়দের বেঁধে না রাখা হয়, তা হলে তাদের আক্রমণে জীবন সংশয়ও হতে পারে।’’