• মাশরুমে চাঙ্গা হবে গ্রামীণ অর্থনীতি, নয়া উদ্যোগ উলুবেড়িয়ায়
    এই সময় | ২৯ মে ২০২৫
  • গত কয়েক বছর ধরে বাঙালির রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছে মাশরুম। যাকে এক সময় বাঙালি ব্যাঙের ছাতা বলে দূরে সরিয়ে রেখেছিল, এখন সেই মাশরুম দিয়েই বাঙালির ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় পদ। এ বার এই মাশরুম চাষই দিশা দেখাচ্ছে উলুবেড়িয়া ১নং ব্লকের হাটগাছা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দাহুকা গ্রামের কৃষকদের। উদ্যানপালন দপ্তরের তত্বাবধানে গড়ে উঠেছে একটি মাশরুম উৎপাদন কেন্দ্র। মঙ্গলবার রাজ্য ও জেলা পর্যায়ের আধিকারিকরা এই কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন।

    উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকে প্রশাসন সূত্রে খবর, রাষ্ট্রীয় কৃষি উন্নয়ন যোজনার ( RKVY) আওতায় উদ্যানপালন দপ্তরের তত্বাবধানে এই কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। মাশরুম চাষের এক-একটি ইউনিট তৈরি করতে খরচ হয় ২০ লক্ষ টাকার মতো। এর ৪০ শতাংশ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে দেয় রাজ্য সরকার। এ দিন সেই কেন্দ্র পরিদর্শন করতে এসেছিলেন রাজ্য উদ্যানপালন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক দীপ্তেন্দু বেরা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন বিভাগের যুগ্ম সচিব অনুপ কুমার দে, উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক প্রমুখ।

    মাশরুম উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের পরে আধিকারিকরা জানান, এই কেন্দ্রটি স্থানীয় কৃষকদের মাশরুম চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতেও সহায়তা করবে এই কেন্দ্র। আধিকারিকদের মতে, এই উদ্যোগ গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেও সহায়ক হবে। আগামী দিনে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে মাশরুম চাষ নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।

    গত দেড় বছর ধরে দাহুকা গ্রামে মাশরুম চাষ করেন হর্ষিত আগরওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন এই কেন্দ্রে গড়ে ১ কুইন্টাল করে মাশরুম উৎপন্ন হয়। এখানকার মাশরুম কলকাতার শিয়ালদহ, নিউমার্কেট ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। সরকারি সাহায্য পেলে আগামী দিনে এই উৎপাদন কেন্দ্রটি বহরে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)