টাকার বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছিল জাল আধার কার্ড। এই কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল দু'জনকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বীরভূম জেলার নলহাটি থানার ঘটনা। দিন কয়েক আগেই নলহাটি থেকেই জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় দুই জনকে। ওই দু'জনের সঙ্গে জাল আধার কার্ড কারবারিদের যোগ আছে কী না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সাব্বির হোসেন এবং হাজিকুল মোল্লা। নলহাটির বান্দখালা গ্রামের বাসিন্দা সাব্বির এবং পাইকর এলাকার বাসিন্দা হাজিকুল দীর্ঘদিন ধরেই জাল আধার কার্ড তৈরি করছিল বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মাত্র দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে তৈরি করে দেওয়া হচ্ছিল ভুয়ো আধার কার্ড। বুধবার গ্রাহক সেজে তাদের কাছে যায় পুলিশ। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতদের তোলা হবে রামপুরহাট আদালতে।
বর্তমানে, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে জেলাজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে বীরভূম জেলার পুলিশ ও প্রশাসন । এই অনুপ্রবেশকারীদের সন্ধান করতে গিয়েই এই জাল আধার কার্ড চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই খবর পাওয়ার পরেই গ্রাহক সেজে জাল আধার কার্ড তৈরি করার জন্য যাওয়া হয় এই দুই অভিযুক্তের কাছে। প্রায় ছয় ঘন্টা তল্লাশি চালানোর পর, তাদের গ্রেপ্তার করে নলহাটি থানার পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জাল আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়ার জন্য তারা দেড় হাজার টাকা নিত। অনেক সময়, সুযোগ বুঝে, আরও বেশি টাকা নিত দুই জনেই।
বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন থেকেই আমাদের নজরদারি চলছিল । বুধবার জাল আধার কার্ড তৈরির সঙ্গে যুক্ত দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর কোনও চক্রর সঙ্গে এরা জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নলহাটি থানা এলাকা থেকে জঙ্গি সন্দেহে দু'জনকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ডায়মন্ড হারবার থেকে গ্রেপ্তার হয় করা আরও একজনকে। এসটিএফ এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সরাসরি যোগ পাওয়া গিয়েছে। তাদের সঙ্গে এই ভুয়ো আধার কার্ড বিক্রেতাদের কোনও যোগাযোগ ছিল কী না তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।