পার্থ চৌধুরী: মেমারিতে জোড়া খুনের ঘটনায় ফরেন্সিক দল! জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার সায়ক দাস।  তিনি জানান, সকালে পুলিসের কাছে এই খুনের খবর আসে। রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ দুটি পড়ে ছিল। জায়গাটিও  রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। তিনি আরও বলেন, তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। এখনই কিছু বলার সময় আসেনি। মৃত দম্পতির ছেলেকে ঘটনার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওদিকে ওনাদের মেয়ে বাইরে থাকেন। তাঁকে খবর পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিস।

বুধবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সকালে রাস্তার উপর উদ্ধার হয় প্রৌঢ় দম্পতির দেহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুনের পর ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনা হয়েছিল তাঁদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে  মেমারি থানার পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত মেমারি থানার অন্তর্গত মেমারি-১ ব্লকের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকাতে। মৃতের নাম মোস্তাফিজুর রহমান (৬৬) ও মমতাজ পারভিন (৫৫)। জানা গিয়েছে, বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের ছেলে থাকতেন। ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন।

দম্পতির ছেলেকে ঘিরে 'রহস্য'!

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ছেলে হুমায়ূনের বহুদিন আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। ছেলেটি বাইরে কর্মরত অবস্থায় কাজ করতে করতে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান। পরে বাড়ির লোক গিয়ে খুঁজে তাঁকে বাড়ি নিয়ে চলে আসে। ৪ মাস ধরে এই বাড়িতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন ছেলে হুমায়ূন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে দম্পতির ছেলের আরও কোনও খোঁজ নেই।

স্থানীয়দের দাবি, যেহেতু দম্পতির ছেলে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন, তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনা সম্পর্কে জানা যেতে পারে। এলাকার এক বাসিন্দা মহম্মদ মইনুদ্দিন্ন কুরেশি জানিয়েছেন, নিহত দম্পতির সঙ্গে এলাকাবাসীর সদ্ভাব ছিল। তাঁদের ছেলের মানসিক সমস্যা ছিল। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। মোস্তাফিজুর চাষাবাদ করতেন। তাঁদের প্রচুর জমি জায়গাও রয়েছে।

এখন পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কে বা কারা এই  নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটাল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, বাড়ির মধ্যে কোনও কিছু চুরি না গেলেও সিসিটিভির হার্ডডিস্ক উধাও‌। মৃতের দেহের কাছে তাঁর মোবাইল ফোনও রাখা ছিল।