ভুয়ো পরিচয় দিয়ে সমীক্ষার কাজ চলছে গ্রামে গ্রামে। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে গ্রেপ্তার দুই মহিলা-সহ মোট ৯ জন। বুধবার দুপুরে তাঁদের আদালতে তোলা হয়। উল্লেখ্য, দু’দিন আগে বাঁকুড়া থেকে একই অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার চন্দ্রকোণা থানার পুলিশের কাছে খবর আসে গত দু’দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষার নাম করে এলাকায় ঘুরছে একটি টিম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে গোপন নথি সংগ্রহ করছেন একদল যুবক-যুবতী। খবর পেয়েই তৎপর হয় পুলিশ। বুধবার সকাল সকাল চন্দ্রকোণার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের একাধিক টিম ওঁত পেতে অপেক্ষা করতে থাকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ সেই টিমের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযান চালিয়ে আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের সকলকেই বুধবার দুপুর নাগাদ ঘাটাল মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
ধৃতদের কাছ থেকে একটি মারুতি ইকো গাড়ি, ন'টি মোবাইল ফোন, একাধিক ভুয়ো আই কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই টিম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় সার্ভে করতে এসেছিল বলে পুলিশের দাবি। এই টিমের নামে এলাকার বাসিন্দারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃতদের দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুয়ো পরিচয় পত্র দিয়ে মানুষকে প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন পুলিশ-প্রশাসনকে। পাশাপাশি দলীয় স্তরেও সজাগ থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি, উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক সভা থেকেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়। তারপরই প্রথমে ঝাড়গ্রাম এবং পরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণার থানার পুলিশের এই সাফল্য।