লটারির টিকিট কাটা তাঁর নেশা নয়। তবে মাঝেমধ্যে ভাগ্য বদলানোর আশায় লটারির টিকিট কাটেন মালদার সিভিক ভলান্টিয়ার কৌশিক ঘোষ। কিন্তু লটারির টিকিট কাটার পরে তাঁর যে সত্যিই ভাগ্য খুলে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি। এ বার লটারির টিকিট কেটে তিনি পেয়েছেন এক কোটি টাকা। কোটিপতি হওয়ার পরে আনন্দে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন কৌশিক।
সিভিক ভলান্টিয়ার কৌশিকের বাড়ি মালদার রতুয়ার বৈকুন্ঠপুরে। তিনি বর্তমানে রতুয়া থানায় কর্মরত। মঙ্গলবার তিনি ব্যক্তিগত কাজে শিলিগুড়ি যাচ্ছিলেন। শিলিগুড়িতে যাওয়ার সময়ে চাঁচলে ১২০ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কাটেন। টিকিট কেটে শিলিগুড়ি চলে যান। সন্ধ্যেবেলা সেখান থেকে ফেরার পথে টিকিটের রেজাল্ট চেক করতে গিয়ে তিনি একেবারে হতভম্ব হয়ে যান।
সিভিক ভলান্টিয়ার দেখেন তাঁর টিকিটের নম্বরটি প্রথম পুরস্কার হিসেবে লেখা। আর প্রথম পুরস্কার ছিল এক কোটি টাকা। লটারির টিকিট দেখার পরে খুশিতে ডগমগ হয়ে কৌশিক সোজা বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়ি এসে পরিবারকে গোটা ঘটনাটি বিস্তারিত জানান। স্বভাবতই সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারে এখন খুশির হাওয়া।
তবে লটারি জেতার পর নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন কৌশিক। কোটিপতি সিভিক ভলান্টিয়ার জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই তাঁর স্বপ্ন ছিল একটা ভালো বাড়ি বানাবেন। সেই সঙ্গে নিজের বাড়ির কাছে একটি ছোটো জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার কথাও ভেবেছিলেন কৌশিক। এ বার এক কোটি পাওয়ার পর সমস্ত স্বপ্ন পূরণ হবে বলেই মনে করছেন মালদার সিভিক ভলান্টিয়ার।