• গাইডলাইন না মেনে পকসো মামলা! তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাই কোর্টের
    প্রতিদিন | ২৮ মে ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: পকসো মামলায় আইন মেনে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। শুধু তাই-ই নয়, মামলা দায়েরের ক্ষেত্রেও সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মানা হয়নি বলে অভিযোগ। যার জেরে নদিয়া জেলার হাঁসখালি থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্তকারী অফিসার দীপক কুমার মালাকারের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু করে পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিভাগীয় তদন্ত করে পদক্ষেপের জন্য জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েক। বিস্ময় প্রকাশ করে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘পকসো’ মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায় পুলিশ গাইডলাইন মানছে না! ফলে এই রকম আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। হাঁসখলির এই ঘটনাকে গোটা রাজ্যের পুলিশকে উদাহরণ হিসেবে দেখার কথাও জানিয়েছেন বিচারপতি।

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ঘটনা। এক নাবালক ও নাবালিকার যৌন সঙ্গমের ভিডিও ভাইরাল হয়। তার ভিত্তিতে ঘটনার দু’বছর বাদে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। যার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ওই নাবালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক্ষেত্রে ঘটনার সময় সে নাবালক থাকলেও অভিযোগ দায়ের ও মামলা রুজু সময় সে সাবালক হয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ তাঁকে নাবালক হিসেবে না দেখিয়ে সাবালক হিসেবে দেখায়।

    এই গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ করে এবং মামলা দায়েরের পদ্ধতিগত ত্রুটি তুলে ধরে গত মে মাসে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় নাবালকের পরিবার। সম্প্রতি সেই মামলাতেই ধৃত নাবালককে মামলা থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি পট্টনায়েক। আদালতে আবেদনকারীর আইনজীবী অনির্বাণ তরফদার ও সৌম্য ভট্টাচার্যদের দাবি ছিল, নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। যে সময়ের ঘটনা অভিযুক্তের বয়স সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে রাখা উচিৎ। এছাড়াও গ্রেপ্তারির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের যে গাইডলাইন রয়েছে তাও মানা হয়নি বলে অভিযোগ। কাউকে গ্রেপ্তার করার সময় কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কোন গ্রাউন্ডে তা জানাতে হয়, এবং সাক্ষী হিসেবে কাউকে রেখে গ্রেপ্তার করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। হাই কোর্টে এই ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চান সংশ্লিষ্ট আইও। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ করেনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)