নিলয় ভট্টাচার্য
২০১১ সাল থেকে কালীগঞ্জ আসনে টানা জিতেছিলেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ। বাবার আসনে লড়াইয়ের সুযোগ পেয়েছেন কন্যা আলিফা। জয় কি সময়ের অপেক্ষা? নাকি আরজি কর আন্দোলন ও চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন প্রভাব পড়বে উপনির্বাচনের ভোটে? তৃণমূল প্রার্থী আলিফা অবশ্য বলছেন, উন্নয়নের মডেলই এই আসনে জিতিয়ে দেবে শাসক দলকে। উল্টে গতবারের তুলনায় মার্জিন বাড়বে।
কর্পোরেট জগতের মানুষ হলেও রাজনীতিতে তিনি নবাগতা নন। বাবার সঙ্গে বহু এলাকায় ঘুরেছেন, ভোটের দায়িত্ব সামলেছেন। এ বার নিজের লড়াইয়ের পালা। ২০২১ সালের বিধানসভায় প্রায় ৪৬ হাজার ভোটে জিতেছিলেন নাসিরউদ্দিন। একই পেয়েছিলেন ৫৩.৩৫ শতাংশ ভোট। কিন্তু গত চার বছরে রাজ্য রাজনীতি এমন কিছু আন্দোলন, জনরোষ দেখেছেন, যা অভিনব। চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন এখনও চলছে। উপনির্বাচনে এসএসসি ইস্যু কি কাজ করবে?
আলিফার কথায়, ‘এতগুলো মানুষ যে চাকরি হারিয়েছেন, সেটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে, এটাও ঠিক যে দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তাঁদের সকলের পাশে রয়েছেন। আমাদের দল পাশে রয়েছে। নানা আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন পথ বের করা হচ্ছে। তৃণমূল দায়িত্বশীল দল। আমরা এর সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছি। আমি মনে করি না, এই বিষয়টা কোনও ফ্যাক্টর হবে।’
'তৃণমূল ধর্ম, জাতি দেখে রাজনীতি করে না'
আলিফা আহেমদ
নড়বড়ে বিরোধীদের জবাব দিতে ‘উন্নয়ন’-ই আসল হাতিয়ার বলে মনে করছেন তৃণমূল প্রার্থী। আলিফার দাবি, ২০১১ সাল থেকে কালীগঞ্জে প্রায় ১৫৬ কোটির কাজ হয়েছে। কালীগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় আইটিআই কলেজ থেকে শুরু করে হাসপাতাল-সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। সেই খতিয়ান এবং নাসিরউদ্দিনের ‘লিগ্যাসি’ এই আসনে ঘাসফুলেরই জয় হবে, আশাবাদী আলিফা।
ফরিদপুর, হাটগাছা, পলাশী-সহ কালীগঞ্জ বিধানসভা এলাকার বিস্তীর্ণ অংশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। সেটা কি বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছেন আলিফাকে? একেবারেই সেটা মেনে নিচ্ছেন না তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল ধর্ম, জাতি দেখে রাজনীতি করে না। আমরা সব ধর্মের মানুষের জন্য কাজ করি। আমরা সবার আশীর্বাদ নিয়েই ভোটে জিতব।’