মর্মান্তিক মৃত্যু হস্তি শাবকের। লাটাগুড়ি জঙ্গল সংলগ্ন নেপুচাপুর চা বাগানে একটি নালায় পড়ে গিয়ে শাবকটির মৃত্যু হয়। লাটাগুড়ি জঙ্গলের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে মা হাতি। সেখান থেকেই ভেসে আসছে মা হাতির আর্তনাদ। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বন দপ্তরের কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের আপালচাঁদ রেঞ্জের জঙ্গল ছেড়ে চেল নদী পেরিয়ে নেপুচাপুর চা বাগান হয়ে লাটাগুড়ি জঙ্গলে ফিরছিল একটি হাতির দল।
ফেরার পথে হাতির দলে থাকা একটি শাবক চা বাগানের নবনির্মিত একটি নালার মাঝে আটকে পড়ে। মা হাতিটি বহুবার শাবকটিকে তোলার চেষ্টা করে। তবে দীর্ঘ সময় চেষ্টা করলেও অসমর্থ হয়। সঙ্গে সঙ্গে মা হাতিটি চিৎকার শুরু করে। কিন্তু লাভ হয়নি। নালায় আটকে থেকে শাবকটির মৃত্যু হয়।
হাতির দলটি নেওড়া নদী পেরিয়ে লাটাগুড়ি জঙ্গলের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে। আপালচাঁদ রেঞ্জের জঙ্গল ছেড়ে হাতির দলটি বেরিয়ে এলেও সেখানে থাকা বনকর্মীর ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, হাতির দলটিকে বিরক্ত করার কারণে হাতির দলটি মানুষের তাড়া খেয়ে চেল নদী পেরিয়ে নেপুচাপুরের দিকে আশ্রয় নেয়।
গত বছর নভেম্বর মাসেও ডুয়ার্সের বানাহাট ব্লকের কারবালা চা বাগানেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সে বারও চা বাগানের নালায় পড়ে এক হাতি শাবকের মৃত্যু হয়। সন্তান হারিয়ে কার্যত ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকায় তাণ্ডব চালায় মা হাতি। খবর পেয়ে সেখানে বন দপ্তরের কর্মীরা গাড়িতে করে পৌঁছলে তাদের উপরেও হামলা চালায় হাতি। কোনওরকমভাবে গাড়ি থেকে ঝাঁপিয়ে প্রাণে বাঁচেন বন কর্মীরা। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বন দপ্তরের গাড়িটি।