• সামান্য বৃষ্টিতেই জলে থৈথৈ সোনামুখী হাসপাতাল, চরম দুর্ভোগে রোগীরা
    এই সময় | ২৮ মে ২০২৫
  • সবে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যে পুরোপরি চলে আসবে বর্ষা। আগামী কয়েকদিন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আর এতেই প্রমাদ গুনছেন বাঁকুড়ার সোনামুখী এলাকার বাসিন্দারা। কারণ সামান্য বৃষ্টিতেই জল থৈথৈ হয়ে পড়েছে সোনামুখী হাসপাতাল। একটু বেশি বৃষ্টি হলে কী হবে তা ভেবেই চিন্তিত এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং রোগীর আত্মীয়রা।



    সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে চরম অব্যবস্থা। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ রোগী, তাঁদের আত্মীয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ, সোমবার দুপুরে সোনামুখী শহর জুড়ে তুমুল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়ে সোনামুখী হাসপাতাল। আউটডোর থেকে হাসপাতালের ইনডোর সব জায়গায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জলমগ্ন হাসপাতালের ছবি মোবাইল বন্দি করেন রোগী এবং রোগীর আত্মীয়রা। তার পরেই ওই ছবি এবং ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে।

    তাতেই দেখা গিয়েছে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের দুর্ভোগের ছবি। কারণ, আউটডোরের ভিতরেও জল থৈথৈ করছে। অবস্থা এমনই যে সেই পরিস্থিতিতে অন্য কোনও উপায় না পেয়ে তা তুলে বসে থাকতে হয় রোগীদের। একই অবস্থা রোগীর আত্মীয়দের। তাঁরা জানান, হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা রোগীর কাছে তাঁদের যেতে হয়েছে জলের মধ্যে দিয়েই।

    ওই রোগীদের আত্মীয়দের দাবি, শুধু মাত্র রোগীরাই নয়, এই কারণে চেয়ারের উপর পা তুলে বসেছিলেন চিকিৎসকও। ওই জলে ভেসে ছিল ওষুধের প্যাকেট এবং ট্যাবলেটও।

    তাঁদের দাবি, হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিক নেই। হাসপাতালে ড্রেন গুলি সংস্কার করা হয় না তাই এই সমস্যা।

    তাঁদের অভিযোগ, বার বার বলার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেন এই সমস্যার সমাধান করতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি।

    উল্লেখ্য, সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে সোনামুখী ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পরিষেবা নিতে আসেন। হাসপাতালে রোগ সারাতে এসে এইভাবে দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের বলেও অভিযোগ রবিয়াল মিদ্দা, সন্ধ্যা বাগদীদের।

    এই কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয়রা।

    যদিও এই নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

  • Link to this news (এই সময়)