জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ফের নিয়োগ এসএসসিতে। '৩১ মে-র মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করব', নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'সুপ্রিম কোর্ট যদি বলে ফের পরীক্ষা দিতে হবে না'।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'আমরা বিজ্ঞাপন দেব ৩০ মে। অনলাইনে আবেদনের সময় দেওয়া হয়েছে ১৬ জুন পর্যন্ত। প্যানেল প্রকাশ করা হবে ১৫ নভেম্বর। কাউন্সেলিং ২০ নভেম্বর। লিখিত পরীক্ষা, স্কুটিনি, প্য়ানেল, মেধাতালিকা প্রকাশ,ইন্টারভিউ, সবই আমরা করে নেব। ২৪,২০৩টি শূন্যপদের জন্য নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশে যে পদগুলি খালি হয়ে আছে। এছাড়াও নবম-দশম শ্রেণিতে আরও ১১, ৫১৭ শূন্যপদ আমরা তৈরি করেছি। এবং ৬,৯১২ দ্বাদশ ও একাদশ শ্রেণিতে বাড়তি পদও করা হয়েছে। ৬৭১ গ্রুপ সি এবং ১ হাজার গ্রুপ ডি-র জন্য করা হয়েছে। সবমিলিয়ে শূন্যপদ ৪৪, ২০৩'।
কে যোগ্য? কে-ইবা অযোগ্য? বাছাই করা যায়নি। এসএসসি ২০১৬ সালের পুরো প্য়ানেলই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে শিক্ষকরাই যে শুধু চাকরি হারিয়েছেন, তা কিন্তু নয়। রেহাই পাননি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরাও। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ২৬ হাজার। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শূন্যপদে রাজ্যকে ফের নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা যারা সরকার চালাই বা যেখানে থাকি না কেন, প্রত্যেকেই আইন মেনে চলতে হয়। সংবিধান মেনে চলতে হয়। আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে আমরা যদি আইনে বাইরে গিয়ে নিজেদের মতো করি, তাহলে কিন্তু এটা অন্যভাবে কেউ নিতে পারে। রিভিউ পিটিশন ইতিমধ্যেই করেছি। সুপ্রিম কোর্টে এখন গরমের ছুটি চলছে। আমরা চেষ্টা করেছি, বিষয় তোলার। আমরা সঠিক সময়ে রিভিউ পিটিশন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন করেছি। আবেদনে কিন্তু কারও চাকরি যাওয়ার কথা বলিনি। আমরা পরিষ্কার বলেছি, যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের সুযোগ দেওয়া হোক। তাঁদের যেন লিস্টটা বাতিল না করা হয়। কিন্তু এই রিভিউ করার আগে, রিভিউটা আলোচনার সুযোগ আসেনি এখনও'।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'রিভিউ পিটিশনের আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি যে নির্দেশটা দিয়ে গিয়েছেন, সেই নির্দেশটা কোনওকারণে যদি কার্যকর না করি, তাহলে যদি কখনও বলে দেয়, তোমার নির্দেশ দিয়েছিলাম, তোমরা মাননি। সুতরাং সবটাই বাতিল। এটা আমরা চাই না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সবটাই রেডি করে করে রাখব। যদি রিভিউতে বলে আপনাদের পরীক্ষা দিতে হবে না। লিস্ট বাতিল করা হল না। তাহলে আমরা নিশ্চয়ই সুপ্রিম কোর্টের কথা শুনব। তাহলে এটা আসবে না। আমরা হাতে সময় নিয়ে করেছি'। সঙ্গে চাকরিহারাদের বার্তা, 'আমরা এটা করতে বাধ্য হচ্ছি। করার যে ইচ্ছা ছিল মন থেকে তা নয়। আমরা চাই চাকরিহারারা সকলে চাকরি ফিরে পাক'।