চম্পক দত্ত: রাজ্যের আইশৃঙ্খলা, কাশ্মীর সমস্য়া নিয়ে সরব হলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নজরগঞ্জে আমতলা ঘাট এলাকায় চা চক্রে যোগ দেন বিজেপি নেতা। সেখানেই তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজকে যেমন দুরাবস্থা তেমনি পশ্চিমবঙ্গেও হচ্ছে। আমরা বারবার বলছি পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী গান করছেন।
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, চারদিকে বোম ফাটছে, বাচ্চার মারা যাচ্ছে, রাজনৈতিক নেতা, কাউন্সিলরকে খুন করা হচ্ছে। যে পার্টি ক্ষমতায় রয়েছে তার নেতারাও সুরক্ষিত নয়। কোথায় যাচ্ছি আমরা? আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান গাইছেন। ভালো, আমরাও গান গাইতে ভালোবালি। নজরুলগীতি শুনতে ভালোবাসি। কিন্তু কখন গান গাইছেন উনি? মুখ্যমন্ত্রী গান গান, গান শোনেন, নাচেন, দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু কখন গান গাইছেন? যখন ২৬ হাজার শিক্ষক রাস্তায় বসে আছে। প্রায় এক লক্ষ লোককে রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে এই সরকার। আরও অনেকের চাকরি যাবে। মুখ্যমন্ত্রী এত মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছেন। আর উনি গান গাইছেন? ওই গান শুনবে কে, পেটে খিদে নিয়ে? মাথায় চিন্তা নিয়ে? আপনার গান কেউ শুনবে না। মানুষকে নিশ্চিন্ত করুন।
কাশ্মীরের কথা টেনে এনে দিলীপ ঘোষ বলেন, নরেন্দ্র মোদী মানুষকে নিশ্চিন্ত করেছেন। যেখানে বোমা বন্দুক চলত সেখানে সেসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একসময় ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেত না, লোকজন কাজে যেত না। এখন সকাল হলেই সেখানে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। মানুষ ভালো আছে। গোটা দেশ শান্ত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ অশান্ত। প্যারাটিচার, পার্টটাইম শিক্ষক, এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে বসে আছেন যারা তারা কলকাতার মোড়ে মোড়ে ধরনা দিচ্ছেন। সেটা আটকানো যাচ্ছে না। শিক্ষকদের মারধর করা হচ্ছে। কোর্ট গিয়ে রাজ্য বলছে ধরনা দিতে হবে সেন্ট্রাল পার্কে। সরকারের কান ধরে সরকারের বলা উচিত, আসুন তথ্য নিয়ে আসুন। কারা চাকরি পেয়েছে পরীক্ষা দিয়ে, আর কারা চাকরি পেয়েছে পয়সা দিয়ে। আগে যারা পরীক্ষা গিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি ফেরত দেওয়া হোক।
বাংলাদেশের কথা টেনে এনে বিজেপি নেতা বলেন, বাংলাদেশে মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে, মূর্তি ভাঙ্গা হচ্ছে। আমরা বারবার বলতাম রাজ্যকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে। দেখুন একবার বাংলাদেশে কালী মূর্তি ভাঙ্গা হচ্ছে দূর্গা মূর্তি ভাঙা হচ্ছে। এখানেও সেই একই জিনিস হচ্ছে। ওখানে মানুষ খুন হচ্ছে। এখানেও মানুষ খুন হচ্ছে রাস্তায়। বাড়ি থেকে মেয়ে টিউশন পড়তে গেলে ভাবতে হচ্ছে সে ফিরবে কিনা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিস মন্ত্রী। কেন রাজত্ব চলছে, কী করছেন উনি, গান গাইছেন? কে ওই গান শুনবে?