• ভোটার তালিকায় বাংলাদেশিদের নাম ঢোকানোর চেষ্টার অভিযোগ! নামখানায় ২ সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে FIR
    এই সময় | ২৭ মে ২০২৫
  • ভোটার তালিকায় বাংলাদেশিদের নাম ঢোকানোর চেষ্টার অভিযোগে দুই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের হলো FIR। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে কাকদ্বীপ থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    নির্বাচন কমিশন একটি সূত্রের দাবি, নামখানার সমবায় দপ্তরের ইন্সপেক্টর সুদীপ বিশ্বাস এবং নামখানা SDO অফিসের ক্লার্ক অভিজিৎ পাত্রের বিরুদ্ধে গরমিলের বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে। তার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ। সূত্রের খবর, ভোটার তালিকায় নাম তোলার কিংবা বাদ দেওয়ার ক্ষমতা ছিল তাঁদের হাতেই।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, নামখানা এলাকায় অনেক বাংলাদেশির বাস। এ বার তাঁরা তারা ভোটার তালিকায় নাম তোলার চেষ্টা করছেন। আর সেই কাজে তাঁদের সাহায্য করছেন সরকারি আধিকারিকাদের একাংশ, অভিযোগ এমনই।

    নির্বাচনী দপ্তরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই ধরনের অনিয়ম গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর আঘাত। তাই গরমিল ধরা পড়া মাত্রই যথাযথ তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত দুই সরকারি কর্মীর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, একই ধরনের অনিয়মের অভিযোগে কাকদ্বীপ মহকুমার সহকারী সিস্টেম ম্যানেজার অরুণ গড়াইকে বরখাস্ত করা হয়েছিল আগেই।

    গত কয়েক মাসে ভোটার তালিকায় একাধিক বাংলাদেশির নাম পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বছর ঘুরলেই ভোট, তার আগে জোরকদমে চলছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। তারপর থেকেই উঠছে একের পর এক অভিযোগ।

    প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে গুজরাট, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের বহু বাসিন্দার নাম অনলাইনে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রকৃত ভোটারদের এপিক নম্বর ব্যবহার করে ওই ভূতুড়ে ভোটারদের নাম ঢোকানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

    ভোটার তালিকা ক্লিন অর্থাৎ ভুয়ো ভোটারমুক্ত করার জন্য সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে ৩৬ জনের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন মমতা। তাঁর নির্দেশ, ওই কমিটির সদস্যদের মধ্যে যে কোনও চার জন রোজ তৃণমূল ভবনে বসে ভোটার লিস্ট ক্লিনিং নিয়ে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করবেন।

  • Link to this news (এই সময়)