• বালি সমবায় ব্যাঙ্কের ১৫টি আসনে যুযুধান তৃণমূলেরই দুই পক্ষ
    আনন্দবাজার | ২৭ মে ২০২৫
  • বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র তোলেননি। তাই বালি সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির প্রতিনিধি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল। কিন্তু তাতেও সব ক’টি আসনে ভোট এড়ানো গেল না! কারণ, মোট আসনের কয়েকটিতে মনোনয়নপত্র তুলেছে শাসকদলেরই অন্য গোষ্ঠী। তাতে ওই আসনগুলিতে নির্বাচন হবে। এই পরিস্থিতি কি শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এনে দিল?

    যদিও বালির তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে নারাজ। বালি, উত্তর হাওড়া এবং ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের একাংশ নিয়ে বালির ওই ব্যাঙ্কের কাজের পরিধি। বাম আমলে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘ দিন ব্যাঙ্কটি বন্ধ ছিল। সূত্রের খবর, তিনটি এলাকা মিলিয়ে ১৫টি জ়োন অনুযায়ী ৬২টি আসনে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য গত শনিবার থেকে মনোনয়নপত্র তোলা শুরু হয়েছে। ওই প্রথম দিনে ৪১টি আসনের জন্য মনোনয়নপত্র তোলেন শাসকদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। যাঁরা তৃণমূলের হাওড়া জেলা (সদর) যুব সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তবে গোল বাধে সোমবার, মনোনয়নপত্র তোলার শেষ দিনে।

    বাকি ২১টি আসনের জন্য মনোনয়নপত্র তুলতে সকাল থেকেই ব্যাঙ্কে হাজির হন ওই যুব নেতার ঘনিষ্ঠেরা। অন্য গোষ্ঠীর আরও ১৫ জন এসে মনোনয়নপত্র তোলেন। যাঁদের কয়েক জন জেলার এক মন্ত্রী ও বাকিরা স্থানীয় বিধায়কের ঘনিষ্ঠ ও অনুগামী বলেই পরিচিত। ওই ১৫টি আসন বাদ দিলে বাকি ৪৭টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ৬২টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হল না। ১৫টি আসনে তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই হবে। যুব সভাপতি কৈলাস মিশ্র বলেন, ‘‘সিপিএম টাকা তছরুপ করে ব্যাঙ্ক বন্ধ করেছিল। তৃণমূল তা চালু করেছে। দলই শেষ কথা, বিরোধীশূন্য পরিচালন সমিতিই মূল লক্ষ্য।’’

    তা হলে ১৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেন? কৈলাসের দাবি, ‘‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে কেউ ভোটে অংশ নিতে পারেন। তাই অনেকে ব্যক্তিগত ভাবে মনোনয়নপত্র তুলেছেন।’’ এ দিন যে ১৫ জন মনোনয়নপত্র তোলেন, তাঁদের এক জন বালি কেন্দ্রের প্রাক্তন সভাপতি প্রবীর রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘দলের নেতা-কর্মীরা অনেকে মনোনয়নপত্র তুলেছেন। কত আসনে লড়াই হবে, ৩১ মে স্ক্রুটিনিতে স্পষ্ট হবে। ভোট এড়ানো প্রায় অসম্ভব।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)