• এই সময় খবরের জের: খেপলির বিল ভরাট বন্ধ করতে সক্রিয় প্রশাসন
    এই সময় | ২৭ মে ২০২৫
  • এই সময়, রহড়া: কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে খড়দহের রহড়ায় খেপলির বিলের একাংশ ভরাটের খবরে অবশেষে টনক নড়ল প্রশাসনের। ইতিমধ্যে ভরাটের কাজ প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    ব্যারাকপুর–২ ব্লকের বিডিও সরবার আলির নির্দেশে স্থানীয় বিএলআরও–র আধিকারিকরা ওই ভরাটের অংশে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে এসেছেন। ওই জমিতে ভরাটের কাজ বন্ধ করার নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি ওই জমির রেকর্ডে যাদের নাম রয়েছে তাদেরও নোটিস ধরিয়ে শোকজ় করার পরিকল্পনা করেছে বিএলআরও।

    স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, রেকর্ডে যাদের নাম রয়েছে তাদের একজন বাদ দিয়ে বাকি কারও ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে যেখানে ওই জমির মালিকদেরই সঠিক ভাবে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি, সেখানে ভরাটের প্রক্রিয়া কার নির্দেশে, কী ভাবে চলছিল? পিছনে স্থানীয় কোনও প্রভাবশালীর মদত ছিল বলেই কি নিশ্চিন্তে হচ্ছিল ভরাটের কাজ?

    যদিও বিডিও সরবার আলি বলেন, ‘রেকর্ডে যাদের নাম আছে তাদের ঠিকানা খুঁজে বিএলআরও–র শোকজ় নোটিস সার্ভ করার জন্য আমরা রহড়া থানার সাহায্য চেয়েছি। জলাজমি ভরাট কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’

    এ দিকে ভরাটের খবর সামনে আসতেই কেএমডিএ–র উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক স্থানীয় ব্যারাকপুর–২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর রাজবংশীকে ফোন করে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন। তাঁকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    প্রবীর রাজবংশীও অফিসের আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। প্রবীর বলেন, ‘আগেও অনেক জলাজমি ভরাট আটকেছি। এ ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    খড়দহ ও পানিহাটির সীমানা লাগোয়া এলাকায় প্রায় ১৯ একর জুড়ে রয়েছে বিশাল জলাশয়। যা খেপলির বিল নামে পরিচিত। প্রকৃতির ভারসাম্য এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষার পাশাপাশি এই বিলকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক মৎস্যজীবী জীবিকা নির্বাহ করেন।

    কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে অবস্থিত বিশাল এই জলাশয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকেও যথেষ্ট নজরকাড়া। ওই জলাশয়ের একদিকের অংশ ভরাটের খবর সোমবার প্রকাশিত হয়েছিল ‘এই সময়’ পত্রিকায়।

  • Link to this news (এই সময়)