এই সময়, গোপালনগর: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিলই। রবিবার রাতে বাড়িতে মাংস রান্না করতে দেরি হওয়া নিয়ে ফের ওই দম্পতির মধ্যে বিবাদ বাধে। তারই জেরে স্ত্রীর মাথায় শাবল দিয়ে মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
রবিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর গোপালনগর থানার অধীন গঙ্গানন্দপুর গ্রামে। মৃতার নাম উন্নতি বিশ্বাস (৪৬)। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী বছর চুয়ান্নর সুনীল বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ।
বিশ্বাস পরিবারে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হতো। বিশ্বাস দম্পতির দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে কাজের সূত্রে ভিনরাজ্যে থাকলেও বাড়িতে ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তাঁরা।
পড়শিদের কথায়, রবিবার বাড়িতে মাংস এনে রান্না করতে বলেছিল সুনীল। রাত আটটা নাগাদ বাড়িতে ফিরে স্ত্রীর কাছে মাংস খেতে চায়। কিন্তু মাংস রান্না করতে দেরি হওয়ায় রেগে যায় সুনীল। তা থেকে দু’জনের মধ্যে বচসা বাধে।
অভিযোগ, এর পরই ঘরে থাকা শাবল দিয়ে উন্নতির মাথায় সজোরে আঘাত করে সুনীল। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন উন্নতি। চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে যান স্থানীয়রা। প্রতিবেশীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রাতেই খবর পেয়ে গোপালনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। নিহতের এক আত্মীয়া বলেন, ‘রাত আটটা নাগাদ উন্নতি রান্না করছিল। সুনীল মাংস খেতে চাইলে উন্নতি সকালের সব্জি দিয়ে বলে, এখন এটা দিয়ে খেয়ে নিতে, পরে মাংস হলে খেতে। তা থেকেই তর্ক বিতর্ক শুরু হয়।’