সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক পুলিশ কর্মী বাংলায় বলছেন, ‘ফেসবুককে ব্যবহার করে প্রায় ৯০ হাজার মেয়ে কিডন্যাপ হয়েছে।’ সেই ভিডিয়োকে সামনে রেখে বাংলায় নারী সুরক্ষা নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগল বিজেপি। পাল্টা সরব রাজ্যের শাসক দল। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন।
ভাইরাল ভিডিয়ো
ওই ভিডিয়োটি কখন, কোথায় তোলা হয়েছে এবং কোন এলাকার প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়।
তৃণমূলকে তোপ বিজেপির
আর এই ভিডিয়োটিকে সামনে রেখেই বাংলায় নারী সুরক্ষা নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির। ‘বিজেপি ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর তরফে এক্স হ্যান্ডলে এই ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখা হয়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। পুলিশ স্বীকার করছে শুধুমাত্র ফেসবুক ব্যবহার করেই ৯০ হাজার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে ফাঁদ পেতে ৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার পরে ব্ল্যাকমেল করা হয়। এটাই ভয়াবহ বাস্তব। মেয়েরা নিজেদের বাড়িতেও সুরক্ষিত নয়। বাংলার মেয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ আর সুরক্ষিত নয়।’
পাল্টা সরব তৃণমূলও
এই ভার্চুয়াল যুদ্ধ বজায় রেখেছে দুই টিমই। তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে পাল্টা একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়। যেখানে বিজেপি শাসিত বেশ কিছু রাজ্যের একাধিক ঘটনার উল্লেখ (প্রতিবেদনের শিরোনাম হিসেবে) করা হয়। এই প্রতিবেদনগুলির বিষয়বস্তু ছিল, ‘মাদক খাইয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করা হলো সুরাটে, গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা’, ‘গণধর্ষণের অভিযোগ বেঙ্গালুরুতে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক…’, ‘উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে স্কুল যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার দলিত মহিলা’।
এরকম বেশ কিছু প্রতিবেদন শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘বাংলার দিকে আঙুল তোলার আগে নিজেদের রক্তমাখা উঠোন পরিষ্কার করুন। গত সাতদিনে এই ভয়াবহ ঘটনাগুলি ঘটেছে। এগুলি দেখে মনে হয় যে, বিজেপির শাসনে মহিলারা সুরক্ষিত? আমরা অপেক্ষা করব।’
সবমিলিয়ে এই সোশ্যাল তরজায় সরগরম রাজনৈতিক মহল।