Cyclone Shakti: বিগত কয়েকদিন ধরেই একাধিক ওয়েদার মডেলে এসেছে সামনে। জানা যাচ্ছিল, মে মাসের শেষের দিকেই ভারতের স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি'। প্রবল ক্ষমতাশালী হয়েই সাইক্লোন আছড়ে পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন পট পরিবর্তন! জিএফএস সহ পাঁচটি আন্তর্জাতিক মডেল দেশের দুই প্রান্তে জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিচ্ছিল। দু'টি মার্কিন এবং একটি জার্মান আবহাওয়া গবেষণা মডেল এবার দাবি করছে যে, লাগাতার তোলপাড় করা বৃষ্টিতে, ঘূর্ণিঝড় দানা বাঁধার আগেই তার অভ্যন্তরীণ শক্তিক্ষয় হচ্ছে, তাতে আরব সাগরে আলাদা করে আর ঘূর্ণিঝড় হবে না খুব সম্ভবত। মৌসম ভবন (আইএমডি) বলেই দিয়েছিল যে, এবার ধেয়ে আসছে ভয়ংকর বৃষ্টি...
মুম্বই ভাসছে
গত বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বর্ষণে মুম্বই কার্যত জলের তলায়। সোম ভোরে মুম্বই এবং শহরতলির জন্য কমলা ও লাল সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত থেকে মাঝারি বজ্রপাত এবং ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝেড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মায়ানগরীতে ১০৪ মিলিমিটার বৃ্ষ্টি হয়েছে। এর আগেও ১০০ মিমির বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে মুম্বইয়ে। যা মে মাসের গড় বৃষ্টিপাতের প্রায় ৭০০% বেশি। আগামী ৩ ঘণ্টায় মুম্বই-সহ উপকূলীয় মহারাষ্ট্রে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জলাবদ্ধতার সঙ্গেই বহু ট্রেন চলাচল বিলম্বিত হয়েছে।
বাংলাও ভাসবে!
এদিন কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আইএমডি যা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনের প্রাকমঞ্চ হিসেবেই বর্ণনা করেছে। যা বর্তমানে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে এগিয়ে যাচ্ছে। হাওয়া অফিসের মতে ২৭ মে নাগাদ পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এর প্রভাবে, ২৮ মে থেকে বাংলার কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের আরও কিছু অংশ, মিজোরামের অবশিষ্ট অংশ, ত্রিপুরা, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ এবং অসম ও মেঘালয়ের কিছু অংশে মৌসুমি বায়ু আরও এগিয়েছে। সোমবার সকাল ৮:৩০ টা থেকে শহরে ২.৪ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা এবং তার সংলগ্ন হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার এবং মালদহ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। কারণ গাঙ্গেয় এবং উপ-হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ উভয়ের উপর একটি মৌসুমী প্রবাহের লাইন তৈরি হয়েছে।
আগামী তিন দিনের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরের আরও কিছু অংশ এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যের অবশিষ্ট অংশ এবং উপ-হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের কিছু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল। এছাড়াও, বঙ্গোপসাগর থেকে অনুকূল বাতাসের ধরণ এবং আর্দ্রতা প্রবেশের উপস্থিতিতে, আগামী ৩-৪ দিন ধরে বজ্রপাত এবং দমকা বাতাসের কার্যকলাপ অব্যাহত থাকতে পারে...