অর্ণবাংশু নিয়োগী: 'দাদু-দিদার সঙ্গে নাতি বা নাতনির দেখা করা কখনই ক্ষতিকর হতে পারে না'। নিম্ন আদালতকে রায় পুনর্বিবেচনায় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'দাদু, দিদা সবসময়ই আসলের থেকে সুদ বেশি ভালোবাসেন। নাতি বা নাতনির সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাত্ কখনই বন্ধ করা উচিত নয়'।
স্বামী-স্ত্রী আর একসঙ্গে থাকতে চান না। আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে ১১ এপ্রিল মেয়ের অস্থায়ী হেফাজত চেয়ে আলিপুর আদালতে আবেদন করেছিলেন স্বামী। কিন্তু পড়াশোনা ক্ষতি হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, 'শিশুটিকে কলকাতা আনার কোনও প্রয়োজন নেই। দাদু-দিদার নাতনির সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা বৈধ হলেও, তা শিশুর পাঠ্যক্রম ও সময়সূচির মধ্য়েই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে'। এরপর মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।
মামলাকারী আইনজীবী রোহন দ্বৈপায়ন ভৌমিক জানিয়েছেন, 'হাইকোর্টের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য পারিবারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, ছুটিতে বাবার সাথে দেখা করার সময় মেয়েটিকে তার দাদু,দিদার বাড়িতে থাকার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে'। হাইকোর্টের মতে, 'দাদু, দিদার ভালোবাসা এবং স্নেহ একজন নাবালক বা নাবালিকার জীবন এবং মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তার শিক্ষা এবং অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপের উপর প্রভাব ফেলবে না'।