জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত পাঁচ বছর আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের নয়াবাড়ির বাসিন্দা রহমান আলীর মেয়ের সাথে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চটহাট অঞ্চলের তুফান ডাংগি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ বশিরের ছেলে হাসিবুলের বিয়ে হয়। এরপর থেকেই সুন্দরভাবে চলছিল তাদের সংসার। তাদের একটি ছেলে ও মেয়ে সন্তান রয়েছে।
জানা যায়, বছরখানেক ধরে হাসিবুল তাঁর স্ত্রীকে প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত। পরবর্তীতে এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন হাসিবুল। প্রায়সই স্ত্রীর সামনে সে ফোনে অন্য মহিলার সঙ্গে কথা বলতেন। এই বিষয়ে, হাসিবুলের স্ত্রী তাঁকে বাধা দেন এবং সেই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে বারণ করেন।
বারবার বলার পরও হাসিবুল পরকিয়ায় গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন। গত শুক্রবার রাতে এই বিষয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক ঝামেলার সৃষ্টি হয়। স্ত্রী বিভিন্নভাবে স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও স্বামী বেধড়ক মারধর করেন স্ত্রীকে।
ঘটনার পর প্রতিবেশীদের বাড়িতে মৃতার দুই সন্তান খাবার খেতে যান। পাড়া প্রতিবেশীরা তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, তার মা এখনও ঘুম থেকে ওঠেননি। জানা যায় স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করার পরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে দেয় স্বামী। সন্তানদের ঘর থেকে বের করে দেন এবং ঘরের জানলা দিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় সেই মহিলা রয়েছে। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার খবর পেয়ে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ পৌঁছন।
এরপরে খবর দেওয়া হয় মহিলার পরিবারকে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পরিবারের লোকজন। মোহাম্মদ হাসিবুল ও তার পরিবারের এর নামে ফাঁসি দেওয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরবর্তী ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ গতকাল রাতে মোহাম্মদ হাসিবুলকে গ্রেফতার করে।
আজ ধৃতকে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে থানাতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ তদন্ত করে পুলিশ প্রশাসনিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর। ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। পরিবারের দাবি দোষীদের অবিলম্বে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দাবি করছেন।