মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, উত্তরে নজরদারি বাড়ল সীমান্তে
আনন্দবাজার | ২৪ মে ২০২৫
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই উত্তরবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে রাজ্য পুলিশ। সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পুলিশি খোঁজ শুরু হয়েছে ‘অচেনা মুখ’-এর। গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভায় জঙ্গি-প্রবেশ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। স্পষ্ট করেছিলেন, সীমান্তরক্ষী বাহিনী আছে বলে পুলিশকে চোখ-কান বন্ধ করে রাখলে চলবে না।
সেই কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গের আন্তর্জাতিক সীমান্ত অর্থাৎ বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান সীমান্তে শুরু হয়েছে নজরদারি। বিহার, ঝাড়খণ্ড, সিকিম সীমানাতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশ যাদব বলেন, “প্রতিটি সীমান্তপথে আচমকা নাকাতল্লাশি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। কোনও অচেনা মুখ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পরিচয় খতিয়ে দেখা হবে।”
উত্তরবঙ্গের সব থেকে বেশি এলাকা জুড়ে আছে বাংলাদেশ সীমান্ত। কোচবিহারেই ৫৪৯ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে, মালদহে তা ১৭২ কিলোমিটার। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরেও বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। এ ছাড়া নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও উত্তরবঙ্গের সীমান্ত রয়েছে। নজরদারি মূলত বেড়েছে সীমান্তেই।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান সীমান্তে যে ছোট ছোট রাস্তা রয়েছে, সেখানে আচমকা তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে লাগাতার নাকাতল্লাশি চলবে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মী বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত কর্মীদের মূলত দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সীমান্তেই। সিভিক কর্মী ও ভিলেজ পুলিশকে গ্রামের খবর জানতে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। পুলিশের সোশাল নেটওয়ার্ক টিমে কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও এসএসবি-র সঙ্গে সমন্বয়ে জোর দিয়েছে পুলিশ। রয়েছে ড্রোন নিয়েও সতর্কতা।
শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর মহকুমার একাংশ ছাড়াও মালদহে কালিয়াচক, হবিবপুর ও বামনগোলা থানা এলাকায় উন্মুক্ত সীমান্ত আছে। সেখানকার থানাগুলির আইসিদের বাড়তি টহলদারির নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্তারা। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “ড্রোন ওড়ানোর আগে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। যত্রতত্র ড্রোন ওড়ানো যাবে না।”