• দেশে চিন্তা বাড়াচ্ছে জরায়ুমুখ কর্কট রোগ
    আনন্দবাজার | ২৪ মে ২০২৫
  • জরায়ু-মুখের (সার্ভাইক্যাল) কর্কট রোগে (ক্যানসার) আক্রান্ত মহিলাদের ১০ জনের মধ্যে সাত জনই চিকিৎসকের কাছে আসেন অন্তিম পর্যায়ে। যে কারণে দেশে প্রতি আট মিনিটে এক জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়। জরায়ু-মুখের কর্কট রোগের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা ‘এইচপিভি’। তবে, ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন পুরুষেরাও। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রতি তিন জন পুরুষের মধ্যে এক জনের ওই ভাইরাসের কারণে গোপনাঙ্গে সংক্রমণ হতে পারে। শুক্রবার শহরে ‘এইচপিভি’ সংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় এ কথা জানা গেল।

    উপস্থিত চিকিৎসকেরা জানালেন, এইচপিভি-র ১০০ রকম প্রজাতি বা টাইপের মধ্যে ‘টাইপ-৬’ এবং ‘টাইপ-১১’ কম ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে পুরুষ ও মহিলাদের গোপনাঙ্গে আঁচিল তৈরি হয়। কিন্তু ‘টাইপ-১৬’ এবং ‘টাইপ-১৮’-র কারণে মহিলাদের জরায়ু-মুখে এবং পুরুষের গোপনাঙ্গে কর্কট রোগ হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় বলেই জানান স্ত্রী-রোগ চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায়। আবার, গাইনোকলজিক্যাল অঙ্কো-সার্জন দীপান্বিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘পুরুষাঙ্গে কর্কট রোগে মৃত্যুর হার কম এবং তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু মহিলাদের জরায়ু-মুখের কর্কট রোগে আক্রান্ত ক্রমশ বাড়ছে। তা আটকাতে সচেতনতা বৃদ্ধিই একমাত্র পথ।’’

    এইচপিভি সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে প্রাথমিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসাবে প্রতিষেধকের গুরুত্বের কথাও এ দিনের আলোচনায় উঠে আসে। কিন্তু ওই প্রতিষেধক নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক এবং সংশয় এখনও ভাল মাত্রায় রয়েছে। তা হলে? সমাজের সর্বস্তরে সচেতনতা কম থাকার কারণেই সংশয় রয়ে গিয়েছে বলে দাবি উপস্থিত চিকিৎসক জয়দীপ চৌধুরী, পল্লব চট্টোপাধ‌্যায়, দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়দেরও। তাঁরা জানান, পুরুষ ও মহিলা, উভয় ক্ষেত্রেই ৯ থেকে ২৬ বছর পর্যন্ত ওই প্রতিষেধক নেওয়া যায়। তবে, ৯ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে প্রতিষেধক নিলে তার কার্যকারিতা অনেক বেশি এবং তাতে সমাজে হার্ড-ইমিউনিটি তৈরিতে সুবিধা হবে বলেই মত দীপান্বিতার।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)