কিরণ মান্না: নন্দীগ্রামের আমদাবাদ থেকে আজ এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে দেহ উদ্ধার করেছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের আমদাবাদ থেকে আজ এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করলো নন্দীগ্রাম থানার পুলিস। ব্যক্তির মাথায় মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় লোকজনের ধারণা কেউ খুন করে ফেলে দিয়ে গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে মৃত ব্যক্তির নাম আশীষ গুড়িয়া। তার একটি মদের দোকান ছিল। পুলিস দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে।
খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মৃত ব্যক্তি আশীষ গুড়িয়ার একটি খাবারের দোকান ও সঙ্গে মদ বিক্রি করত। গ্রামের এক ব্যক্তি সোনার আংটি বন্ধক দিয়ে তার কাছ থেকে কিছু নগদ টাকা ধার নিয়েছিল। সেই আংটিটি পরে আশীষ, বুঝতে পারে তা নকল। এরপর টাকা ধার নেওয়া ব্যক্তিকে ফোন করে নকল আংটির কথা জানিয়ে বচসা হয়। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ওই ব্যক্তি তাকে রাতেই তার বাড়িতে ডাকে। আশীষ সেই টাকাই ফেরত আনতে গেছিল। এরপরই খুন হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করছেন।
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। গভীর রাতে গ্রামের লোকজন ফাংশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে, দোকান থেকে কিছুটা দূরে ঠিক রাস্তার পাশেই তার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পায় এবং তারপরই তার বাড়িতে খবর দেয়। এবং এই বিষয়টা জানাজানি হয়।
নন্দীগ্রামের সাতেঙ্গাবাড়িতে এক ব্যাক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা। মৃত ব্যাক্তির নাম আশীষ গুড়িয়া। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে।
বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই একটি খাবারের দোকান চালাতেন আশীষ। সেই দোকানেই কিছু মাদক পানীয় বিক্রি করতো বলেও এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্র জানা গেছে। অন্যান্য দিনের মত বৃহস্পতিবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে ফেরেনি আশীষ।
সেই সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বাড়িতে জানায়, আশীষ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরপর নন্দীগ্রাম থানার পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
কে বা কারা, কেনই বা আশীষকে খুন করলো তদন্ত করে দেখছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিস। তবে পরিবারের দাবি আশীষকে খুন করা হয়েছে। ভিটুরিয়ার এক ব্যক্তি সোনার আংটি বন্ধক রেখে কিছু মোটা অংকের টাকা ধার নিয়েছিল।
পরে আসিস জানতে পারে সেই আংটিটি সোনার নয় নকল। এরপর ওই ব্যক্তিকে ফোনে সব জানালে বচসা হয়, তারপরই টাকা ফেরত দেবে বলে ওই ব্যক্তি আশীষকে বাড়িতে ডাকে। আশীষ গিয়েছিল রাতে। তারপরেই এই ঘটনা।
প্রশাসনের কাছে পরিবারের আবেদন যাতে সুবিচার হয়। নন্দীগ্রাম দু'নম্বর ব্লকের সহ-সভাপতি মমতা পাত্র বলেন 'দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় খাওয়ার দোকানের পাশাপাশি অবৈধভাবে মদের ব্যবসা চালাতো আশীষ গুড়িয়া, নন্দীগ্রাম থানায় একাধিকবার এই নিয়ে অভিযোগ করা হলেও পুলিসের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সন্ধ্যার পর ওই এলাকা থেকে যাতায়াত করা যেত না, মদ্যপদের এতই দাপাদাপি ছিল। এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে পুলিস প্রশাসন দায়ি করেছে এলাকাবাসী। অপরদিকে তৃণমূলের নেতা শেখ কাজেহার জানিয়েছেন পুরো অভিযোগটাই সম্পূর্ণবাবে ভিত্তিহীন।