• পানীয় জলই দুর্লভ, ক্ষোভ হাসপাতালে
    আনন্দবাজার | ২৩ মে ২০২৫
  • মহকুমা হাসপাতালে প্রতিদিন বহু রোগীর ভিড়। প্রবল গরমে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় চিকিৎসার জন্য আসা রোগী ও তাঁর পরিজনদের। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই বাইরে থেকে বোতলবন্দি জল কিনে খেতে হচ্ছে তাঁদের। অবিলম্বে পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।

    দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ এমনকি অন্তর্বিভাগেও পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে এই প্রচণ্ড গরমে ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পুরনো ভবনে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই বলে জানাচ্ছেন হাসপাতালের কর্মীরাও। বছর তিনেক আগে একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে হাসপাতাল চত্বরে পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হলেও কিছুদিনের মধ্যে তা খারাপ হয়ে যায়। হাসপাতালের তরফে সেগুলি সারাতে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি বলে অভিযোগ।

    গোসাবার বাসিন্দা নীরজ সর্দার, ঝড়খালির বাসিন্দা সুলগ্না ধর বললেন, “রোগী নিয়ে এক সপ্তাহের বেশি হাসপাতালে রয়েছি। এখানে পানীয় জলের ভীষণ সমস্যা। হাসপাতাল চত্বরে কোথাও পানীয় জলের নলকূপ নেই। বাইরে থেকে লাইন দিয়ে জল আনতে হয়। অথবা বোতলবন্দি জল কিনে খেতে হচ্ছে।” এই সমস্যার কথা বহুবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেই দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান আজও হয়নি। এলাকার বাসিন্দা নিত্যানন্দ রায়, সৌভিক মণ্ডলেরা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে জলের ব্যবস্থা নেই। বারে বারে বলা হলেও সমাধান হয়নি। প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের।”

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে হাসপাতালের তরফে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুরাহা হয়নি। এলাকার বাসিন্দা সমীর মণ্ডলের ক্ষোভ, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না। না হলে একটা সরকারি হাসপাতালে পানীয় জলের ব্যবস্থা কী ভাবে বছরের পর বছর অকেজো হয়ে পড়ে থাকে?”

    হাসপাতালের সুপার পার্থসারথি কয়াল বলেন, “এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। সমাধানের চেষ্টা করছি আমরা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলকে জানানো হয়েছে। উনি আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালে দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা হবে।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)