হাওড়ার দিকে গঙ্গাপাড়ের তেলকল ঘাট থেকে রামকৃষ্ণপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত ফুটপাত জুড়ে গজিয়ে উঠেছিল একের পর এক বেআইনি দোকান। অভিযোগ, চা, কফি, স্যান্ডউইচের আড়ালে ওই দোকানগুলি থেকে গাঁজা, মদ-সহ নেশার সামগ্রীও বিক্রি করা হত। সে সব কিনতে সন্ধ্যা থেকে ভিড় লেগে থাকত ঘাট লাগোয়া গ্র্যান্ড ফোরশোর রোডে। বৃহস্পতিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর (কলকাতা বন্দর) কর্তৃপক্ষ এবং হাওড়া সিটি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই সমস্ত দোকান ভেঙে দিয়ে দখলমুক্ত করল ফুটপাত।
কলকাতার দিকের গঙ্গার পাড়ের মতো হাওড়ার দিকেও তেলকল ঘাট থেকে রামকৃষ্ণপুর ঘাট পর্যন্ত সৌর্ন্দযায়নের কাজ হয়েছিল কয়েক বছর আগে। নদীর পাড় বাঁধিয়ে নতুন করে ফুটপাত তৈরি, ত্রিফলা আলো বসানো, পথচারীদের জন্য বসার জায়গা তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি, হাওড়া পুরসভার তরফে গঙ্গার ঘাটগুলিরও আধুনিকীকরণ করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এরই সুযোগ নিয়ে ফুটপাত দখল করে গজিয়ে ওঠে অন্তত ২০-২৫টি দোকান। যার বেশির ভাগই খাবারের। ফলে, সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় স্কুল ও কলেজপড়ুয়াদের ভিড় লেগে থাকত। বেআইনি ভাবে মোটরবাইক রাখার ফলে লাগোয়া গ্র্যান্ড ফোরশোর রোডে যানজট ছিল প্রতিদিনের দৃশ্য। অভিযোগ, বিভিন্ন খাবারের দোকানের আড়ালে মাদক দ্রব্য বিক্রি করা হত।
পুলিশ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দোকানগুলি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের কোনও অনুমতি ছাড়াই শুধুমাত্র তাঁদের পাঠানো আবেদনপত্র দেখিয়ে এই ব্যবসা চালাচ্ছিল। যে হেতু জায়গাটি বন্দর কর্তৃপক্ষের, তাই হাওড়া সিটি পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারত না।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই বেআইনি দোকানগুলি নিয়ে একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পরে সেগুলি সাত দিনের মধ্যে বন্ধ করার জন্য মালিকদের নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু তার পরেও তাঁরা সরেননি। এ দিন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে সেখানকার দোকানগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’