• দু'দশক পার, নিখোঁজ বাবাকে খুঁজে পেল ছেলে! কীভাবে? জানলে অবাক হতে হয়..
    ২৪ ঘন্টা | ২৩ মে ২০২৫
  • প্রদ্যুত দাস: রক্তের টান,দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে আবেগে ভাসলো বাবা-ছেলে। যদিও ছেলের মুখশ্রী অনেকটাই পাল্টে গেছে বললেন বাবা! ছেলে বলেন প্রায় কুড়ি বছর পর বাবাকে চিনতে পেরে ফিরে পেলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন পুলিসকে। এমন এক আজব কাহিনীর সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ি।

    জলপাইগুড়ি জেলার বেলাকোবা পুলিস ফাঁড়িতে এদিন এসে নিতাইচন্দ্র দাসকে জড়িয়ে ধরলেন তাঁর ছেলে। একেবারে ১০ বছর বয়সী ছেলেকে শেষ দেখেছিলেন তিনি। এখন ছেলে বড়, বয়স প্রায় ৩০-এর কোটায়। তবুও রক্তের টান এমন যে একবারেই চিনতে পারলেন নিজের সেই ছোট সন্তানকে। 

    ছেলে নবজিৎ দাসও নিজেকে আটকে রাখতে পড়লেন না। বাবাকে পেয়েই আনন্দে আত্মহারা সেই ছেলে জড়িয়ে ধরলেন। নবজিতের কথায়, 'আমরা বানারহাট থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর শেষে থানা থেকে খবর পাই বাবা বেলাকোবায় আছেন। প্রায় ২০ বছর পর দেখলাম বাবাকে। শেষ দেখেছিলাম যখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম।'

    পুলিসকর্মীদের ছাড়া বাবাকে পাওয়া একেবারেই অসম্ভব ছিল, তা অকপটে স্বীকার করে নিলেন নবজিৎ। তিনি বিশেষ করে ধন্যবাদ দিয়েছেন বেলাকোবা পুলিস ফাঁড়িতে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার সুমন সাহাকে। বেলাকোবা ফাঁড়ির ওসি অরিজিৎ কুন্ডুর সামনেই হল বাবা - ছেলের পুনর্মিলন। তাতে 'কঠোর' স্বভাবের পুলিসেরও যেন মন গলে গেল নিমেষেই। বাকরুদ্ধ হলেন নিতাইবাবু। তিনি বেশি কিছু না বলতে পারলেও  পুলিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    এর আগেও দেখেছি ২০ বছর পর স্ত্রীকে ফিরে পাচ্ছেন স্বামী। গঙ্গাসাগর মেলার সৌজন্যে ফিরে পেয়েছেন তিনি তাঁর স্ত্রীকে। এবার কুড়ি বছর পর বাবা ফিরে পেলেন তাঁর ছোট্ট ছেলেকে আর ছেলে পেল তাঁর বাবাকে। 

    রক্তের টান এমনই যে ২০ বছর পর দেখা হলেও বাবা তাঁর ছেলেকে চিনতে যেমন বিন্দুমাত্রও অসুবিধা হয়নি তেমনই ছেলে তাঁর বাবাকে চিনতেও একবারের জন্য ভুল করেনি। তাঁদের এই মিলনে মুগ্ধ সকলেই। ছেলে বারংবার ধন্যবাদ দিয়েছেন পুলিসকর্মীদের। তিনি বলেছেন, তাঁরা না থাকলে আজ তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবার দেখা হত না কোনও মতেই। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)